ksrm-ads

২০ এপ্রিল ২০২৫

ksrm-ads

বন্দরে মদকাণ্ড: ৫ মামলার জালে সিএন্ডএফ ও আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের কর্তারা

বাংলাধারা প্রতিবেদক»

চট্টগ্রাম বন্দর ও নারায়াণগঞ্জে থেকে ৫ কন্টেইনার মদ জব্দ হওয়ার প্রায় ৭ দিনের মাথায় ৫টি পৃথক মামলা দায়ের করেছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস। প্রাথমিক তদন্তে জড়িত থাকার কারণে সিএন্ডএফ এজেন্ট জাফর আহমেদসহ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান গুলোর কর্তাদের আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়।

শুক্রবার (৩০ জুলাই) নগরীর বন্দর থানায় একটি এবং পরের দিন অর্থাৎ শনিবার ৪টি মামলা দায়ের করা হয়।

কাস্টম হাউসের সরকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান, আবদুর রউফ, ওয়াহিদুজ্জামান, মেহেদী হাসান বিন আজাদ, নুরুল হুদা বাদী হয়ে পৃথক মামলা গুলো দায়ের করেন।

মামলায় নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডের প্রতিষ্ঠান Dong Jin Industrial (BD) Company Ltd বাগেরহাটের মংলা ইপিজেডের VIP industrial Bangladesh Pvt, ইশ্বরদি ইপিজেডের BHK textile mill ltd, কুমিল্লা ইপিজেডের Hashy Tiger
Company Limited এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক, পরিচালক উর্ধতন কর্মকর্তা এবং সিএন্ডএফ এজেন্ট জাফর আহমদের স্বত্তাধিকারী ও একজন কর্মীকে আসামি করা হয়েছে।

এছাড়া মামলায়  সিএন্ডএফ এজেন্ট জাফর আহমেদ এর স্বত্বাধিকারী জাফর আহমেদ, সিএন্ডফ এজেন্টের কাস্টম সরকার (Custom Sarcar) জসিম রিয়াদ, DongJin Industrial (BD) Company Ltd এর পরিচালক, Chan Chi Wai Alfred, Chankwok Keung, Leung Pul Yee, Chan Wai Shing।

বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহেদুল কবির জানান, চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের ৫ জন কর্মকর্তা পৃথক ৫ টি মামলা দায়ের করেছেন মদ চালানের সাথে সম্পৃক্তদের বিরুদ্ধে। মামলা তদন্ত চলমান রয়েছে। এছাড়া তিনি আরও বলেন, ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে অতি দ্রুত অভিযান পরিচালনা করা হবে।

এই বিষয়ে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের এআরআই শাখার ডেপুটি কমিশনার সাইফুল হক জানান, ৫ কন্টেইনার মদ আটকের ঘটনায় ৫ টি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে।

উল্লেখ্য, গত ২৩ জুলাই  থেকে কয়েকদিনের ব্যবধানে  চট্টগ্রাম বন্দরে তিনটি এবং বন্দর থেকে খালাস হয়ে বেরিয়ে যাওয়ার পর নারায়ণগঞ্জ থেকে দুটি চালানে মদ উদ্ধার করে চট্টগ্রাম কাস্টমস ও র্যাব। এসব চালান ‍গুলোতে মোট ৫৭ কোটি ৮৩ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকির চেষ্টা করা হয়।

বাংলাধারা/এসএআর

আরও পড়ুন