দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করা করেছে। টানা কয়েকদিনের প্রবল বর্ষণ অব্যাহত থাকায় শঙ্খ নদী, ডলুনদী ও হাঙ্গর খালের পানি বিভিন্ন স্থানে বাঁধ ভেঙ্গে প্লাবিত হয়েছে গ্রামের পর গ্রাম। এতে সাতকানিয়ার দুই তৃতীংশ এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। এছাড়াও টানা ৩৬ ঘন্টা ধরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে বিভিন্ন এলাকা। নেটওয়ার্ক জটিলতায় মুঠোফোনে স্বজনদের সাথে যোগাযোগ করতে না পেরে উৎকণ্ঠায় দিন পার করছে সাতকানিয়াবাসী।
ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম-বান্দরবান সড়কের ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় বান্দরবানের সাথে সারা দেশের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। পানি উঠেছে হাজারো বসতঘরে। গ্রামীণ সড়ক পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে পড়েছে হাজারও পরিবারের যোগাযোগ ব্যবস্থাও।
আজ (মঙ্গলবার) পাওয়া তথ্য অনুয়ায়ী, সাতকানিয়া সদর ইউনিয়ন, সাতকানিয়া পৌরসভা, চরতি, নলুয়া, কেওচিয়া, আমিলাইষ, খাগরিয়া, বাজালিয়া, ছদাহা ও পুরানগড়, কালিয়াইশসহ উপজেলার কয়েকটি নিম্নাঞ্চল ও বিলাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
এবিষয়ে সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন বিশ্বাস জানান, উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। কিছু মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের অফিসারদের নিয়ে একাধিক টিম করে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা সরেজমিন পরিদর্শন করবো।