সায়ীদ আলমগীর, কক্সবাজার »
কক্সবাজারের পেকুয়ার টৈটং ইউনিয়নের ছয় গ্রামের প্রায় পাঁচ হাজার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম ডালার মুখ-হাজী বাজার সড়কের ২শ’ মিটার ঢলের পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে ডালার মুখ, হারকিল্লার ধাঁরা, রমিজ পাড়া, মাঝের পাড়া, দরগা মোড়া, সোনাইছড়ি গ্রামের মানুষের এখন চলাচলের একমাত্র ভরসা হয়ে পড়েছে বাঁশের সাঁকো। গত সপ্তায় পাহাড়ি ঢলে সড়কের মাঝের পাড়া অংশের প্রায় দুইশ মিটার বিলীন হয়ে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন গ্রামের আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা।
টৈটং ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য মো. শাহাবুদ্দিন স্থানীয়দের বরাতে জানান, গত বুধবার থেকে ভারী বর্ষণ শুরু হয় কক্সবাজারে। এর জেরে মাঝের পাড়া গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া সোনাইছড়ির পাহাড়ি ছড়ায় প্রবল বেগে ঢল নামে। অতিবৃষ্টির ফলে ঢলের পানি ছড়ায় কানায় কানায় ভরে উঠে। এতে সেতুর দক্ষিণ পাশের রাস্তায় তীব্র ভাঙন দেখা দেয়। ছড়ার ওপরে ব্রীজটি দাঁড়িয়ে থাকলেও ঢলের স্রোতে রাস্তার ভাঙন দুইশ মিটার দৈর্ঘ্যের খাদে পরিণত হয়েছে। জন চলাচলের সুবিধার্থে স্থানীয়রা স্বেচ্ছায় ভাঙনের ওপর বাঁশ-গাছ দিয়ে সাঁকো তৈরি করেছে। এ সাঁকো দিয়ে পারাপার করে গন্তব্যে যাচ্ছেন মানুষ। তবে সাঁকো পারাপারে নারী-শিশু ও বয়স্করা ভোগান্তি পোহাচ্ছে।
স্থানীয় মোহাম্মদ পারভেজ, আবদুল গফুর, লিয়াকতসহ অনেকে বলেন, এলাকার পাহাড়ের পাদদেশ থেকে সাধারণ মানুষ সবজি, লাকড়ি,পানসহ নানা কৃষিজ পণ্য, বনজ সম্পদ আহরণ করে। এ সড়ক দিয়ে হাট-বাজারে নিয়ে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে। এছাড়া এলাকার দু’টি নূরানী মাদ্রাসা ও মসজিদ-মক্তবে যাতায়াতে ব্যবহার হয় এ সড়ক। সড়কের অংশটি বানের পানিতে বিলীন হয়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষ ভোগান্তি পোহাচ্ছেন।
টৈটং ইউপি চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ডালার মুখ-হাজী বাজার সড়কের ২শ’ মিটার বিলীন হওয়ায় বর্তমানে ছয়টি গ্রামের হাজার হাজার মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা চরমভাবে ব্যহত হচ্ছে। সড়কটি দ্রুত সংস্কারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) পেকুয়া উপজেলা প্রকৌশলী কমল কান্তি পাল বলেন, সড়কটির ক্ষয়ক্ষতি পরিমাণ নির্ণয় করা হয়েছে। এটি দ্রুত সংস্কারে জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হবে।
পেকুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বলেন, জনসাধারণের দুর্দশা লাঘবে অতিবৃষ্টির পানিতে বিলীন হওয়া সড়কটি দ্রুত মেরামতের উদ্যোগ নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নিদের্শনা ইতোমধ্যে দেওয়া হয়েছে।
বাংলাধারা/এফএস/এআই