বাংলাধারা প্রতিবেদক»
দোকানে কেনা-কাটার সূত্রে মুদি দোকানি শাহাদাত হোসেনের সঙ্গে পরিচয় হয় মো. আদনান প্রকাশ জিসানের। পরিচয়ের এক পর্যায়ে একদিন নিজের বাসার গেইট বন্ধ থাকায় শাহাদাতের সাথে বাসায় থাকতে গেলে চেষ্টা করে বলৎকারের। বাধা দিলে চুরির অপবাদ ও পুলিশের ভয় দেখিয়ে আদনানকে জোর করে বলৎকার করেন শাহাদাত।
দুই মাস এভাবে বলৎকারের শিকার হলে ক্ষুব্দ হয় আদনান। যৌন নির্যাতন থেকে বাঁচতে ক্রাইম পেট্রোল দেখে পরিকল্পনা করে শাহাদাতকে খুন করে সে।—গোয়েন্দা পুলিশের হাতে গ্রেফতারের পর খুনের এমনই লোমহর্ষক বর্ণনা দিয়েছে জিসান।
শনিবার (৬ আগস্ট) চট্টগ্রামের মুনসুরাবাদ নিজ কার্যালয়ে বাংলাধারাকে এসব তথ্য জানান চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (বন্দর ও পশ্চিম) মুহাম্মদ আলী হোসেন।
এর আগে গত ৫ আগস্ট আনোয়ারা উপজেলার তেকোটা এলাকায় বোনের বাসা থেকে আসামিকে গ্রেফতার করে নগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পশিম বিভাগের স্পেশাল টিম।
নিহত শাহাদাত হোসেন নোয়াখালী জেলার সূর্বণচর এলাকার মো. শাহজাহানের ছেলে।
আটক আসামি মো. আদানান প্রকাশ জিসান চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার বৈলতলী এলাকার মৃত আব্দুল সবুরের ছেলে।
চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (বন্দর ও পশ্চিম) মুহাম্মদ আলী হোসেন বলেন, ‘প্রথম দিকে আমরা কোন ক্লু পাচ্ছিলাম না। নিহতের মোবাইলের কল লিস্ট পর্যালোচনা করে আসামি আদনানকে আমরা গ্রেফতার করি। এরপর জিজ্ঞাবাদে সে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে।’
তিনি বলেন, ‘ক্রাইম পেট্রোল অনুষ্ঠান দেখে বলৎকার থেকে রক্ষা পেতে আদনান খুনের পরিকল্পনা করে। প্রথমে এক দফা চেষ্টা করেও সে পিছপা হয়। এর ঠিক দুইদিন পরে আবারও সে শাহাদাতের দোকানে যায়। দোকানের পেছনে টয়লেটে নিয়ে গেলে সেখানে তাকে বলৎকারের চেষ্টা করে শাহাদাত। এসময় সে লাইট অফ করে ছুরিকাঘাত করে।’
আসামি আদালতে দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানান ডিবির এই কর্মকর্তা।
বাংলাধারা/জেএইচআই