ksrm-ads

২১ এপ্রিল ২০২৫

ksrm-ads

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে আরাকান আর্মির পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ

মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ) বাংলাদেশের সঙ্গে দেশটির সীমান্তবর্তী গুরুত্বপূর্ণ শহর মংডু দখল করেছে। দীর্ঘ কয়েক মাস মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষের পর এই শহরের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার দাবি করেছে গোষ্ঠীটি।

মংডু শহরের দখল ও প্রভাবরোববার (৮ ডিসেম্বর) আরাকান আর্মি জানায়, সীমান্ত শহর মংডু এবং এর সংলগ্ন বর্ডার গার্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ন নং ৫ ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ তারা সম্পূর্ণভাবে হাতে নিয়েছে। ফলে, বাংলাদেশের সঙ্গে মিয়ানমারের প্রায় ২৭০ কিলোমিটার সীমান্ত এখন আরাকান আর্মির অধীনে রয়েছে।

অন্যান্য শহরের নিয়ন্ত্রণআরাকান আর্মি আরও জানিয়েছে, মংডু ছাড়াও রাখাইন রাজ্যের বুথিডাং এবং চিন প্রদেশের পালেতোয়া শহরেরও নিয়ন্ত্রণ তারা নিয়েছে। উল্লেখ্য, পালেতোয়া শহর ভারতের সীমান্তে অবস্থিত, যা এর কৌশলগত গুরুত্বকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।

সংঘর্ষের ধারাবাহিকতামংডুতে অভিযান চালানোর সময় আরাকান আর্মি বিভিন্ন রোহিঙ্গা সশস্ত্র গোষ্ঠী—আরাকান রোহিঙ্গা আর্মি (এআরএ), আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (এআরএসএ) এবং রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও)-এর সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এই লড়াইয়ের সময় মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর অনেক সদস্য এবং সামরিক কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল থুরেইন তুন-কে আটক করেছে আরাকান আর্মি।

মানবিক সংকট ও বাংলাদেশের ভূমিকাবাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে এই পরিবর্তন নতুন সংকটের জন্ম দিতে পারে। সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার করার পাশাপাশি বাংলাদেশকে কূটনৈতিকভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে। রাখাইন রাজ্যে বাণিজ্য পুনঃস্থাপন এবং স্থানীয় মানুষের জীবনযাত্রা সহজ করাও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
নতুন পরিস্থিতিতে চ্যালেঞ্জএই পরিস্থিতি মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি, সীমান্ত এলাকার স্থিতিশীলতা, এবং বাংলাদেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ।

আরও পড়ুন