ksrm-ads

১৯ এপ্রিল ২০২৫

ksrm-ads

বাগান উচ্ছেদ করে ফের রোহিঙ্গা ক্যাম্প নির্মাণ, চাপা উত্তেজনা

কক্সবাজার প্রতিনিধি »

কক্সবাজারের উখিয়ার থাইংখালী ১৯নং ক্যাম্প সংলগ্ন লন্ডাখালীর বনভূমির বিশাল এলাকা জুড়ে ফের রোহিঙ্গা ক্যাম্প নির্মাণ চলছে। স্থানীয়দের দীর্ঘদিনের ভোগ দখলীয় বনভূমিতে সৃজিত বাগান উচ্ছেদ করে এসব ক্যাম্প করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় স্থানীয়দের মাঝে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে।

ঘটনা জানার পর বির্তকিত ওই ক্যাম্প নিমার্ণ কাজে বাঁধা দেয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এম. গফুর উদ্দিন চৌধুরী।

চেয়ারম্যান এম. গফুর উদ্দিন চৌধূরী জানান, কতিপয় এনজিও সংস্থা নিজেদের আখের গোছাতে প্রত্যাবাসনে বাধার সৃষ্টি করছে। তেমনি রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে যেতে অনাগ্রহ তৈরীতে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বণ করছে। তাদের মূল উদ্দেশ্য রোহিঙ্গারা যেন মিয়ানমারে ফিরে না যায়। সাথে নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশে উৎসাহিত করছে তারা। আর রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে এসব এনজিও গুলো দীর্ঘ সময় দাতা সংস্থা প্রদত্ত অর্থকড়ি লুটপাট অব্যাহত রাখতে লন্ডাখালী এলাকায় নতুন করে ক্যাম্প নির্মাণের চেষ্টা চালায়।

এতে স্থানীয় জনগণ নিয়ে বাধাঁ দেয়া হয়েছে। লন্ডাখালী এলাকার আবুল আজম (৪৫), সুরুত আলম (৩৫), সুজন (১৮) ও মাহবুবুল আলম (২৫)সহ অনেকে অভিযোগ করে জানান, এনজিও সংস্থা একতা ও মুসলিম হ্যান্ডস প্রভাব বিস্তার করে স্থানীয় শতাধিক পরিবারে যুগ যুগ ধরে ভোগ দখলীয় ফলজ, বনজ বাগান উচ্ছেদ করে সেখানে রোহিঙ্গাদের জন্য নতুন করে ক্যাম্প নির্মাণ করছে। ইতোমধ্যে প্রায় ৪ শতাধিক ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। যেখানে রাতের বেলা আলোর জন্য সৌর লাইটও স্থাপন করা হয়েছে।

জানতে চাওয়া হলে ১৬, ১৭, ১৮ ও ১৯ নং ক্যাম্প ইনচার্জ নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট আবু ওয়াহাব রাশেদ জানান, ক্যাম্পে যাতায়াত সুবিধার উন্নয়নের জন্য এডিবি সড়ক নির্মাণ করলে অসংখ্য বাড়ীঘর সরিয়ে নিতে হবে। তাদের পুর্ণবাসনের জন্য নতুন করে ঘর তৈরি করে রাখা হয়েছে।

স্থানীয়দের দীর্ঘদিনের ভোগদখলীয় বাগানের ব্যাপারে ক্যাম্প ইনচার্জ বলেন, সেখানে আগের কোন প্রকার স্থাপনা বা বাগানের অস্থিত্ব ছিল না। পরিত্যক্ত বনভুমি পেয়েই এসব ঘর নিমার্ণ করা হয়েছে।

কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. আবুল কালাম বলেন, রোহিঙ্গারা প্রত্যাবাসনের অপেক্ষায় আছে। কিন্তু ঝুম বর্ষার প্রাকৃতিক দূর্যোগের মুখে যারা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে তাদের সরিয়ে নিতে নতুন ঘরগুলো নির্মাণ করা হচ্ছে। এছাড়াও রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যাতায়ত পথ উন্নত করতে এডিবি ও ওয়ার্ল্ড ব্যাংক উন্নয়ন কাজ শুরু করলে কিছু রোহিঙ্গার বাসা সরানো প্রয়োজন পড়বে।

প্রত্যাবাসন কমিশনার আরো বলেন, দেশে নতুন করে আর কোন রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের সুযোগ নেই। উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নিকারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ক্যাম্পের কার্যক্রম দেখভাল করেন ক্যাম্প ইনচার্জগণ। তাই ক্যাম্প এলাকায় এনজিওরা নতুন কি করছে তা দৃষ্টির বাইরে থেকেছে। স্থানীয়দের বাগান দখল করে ঘর নির্মাণ করে থাকলে তা দু:খজনক। এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে বিহিত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে উল্লেখ করেন ইউএনও।

বাংলাধারা/এফএস/এমআর

আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও

সর্বশেষ