ksrm-ads

২১ এপ্রিল ২০২৫

ksrm-ads

বান্দরবানে ২ লাখ টাকায় ‘সওজ কর্মকর্তাকে ম্যানেজ’ করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ

বান্দরবান প্রতিনিধি »

বান্দরবানে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের জায়গা দখল করে অবৈধভাবে গড়ে উঠছে নতুন নতুন স্থাপনা। কেউ রাজনৈতিক ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে আবার কেউ সওজ কর্মকর্তাদের অর্থের বিনিময়ে ম্যানেজ করে অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণ করছে।

একইভাবে বান্দরবানের লাম্বা রাস্তা নামক এলাকায় বান্দরবান-কেরানীহাট সড়কের পাশে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের জায়গা দখল করে অবৈধভাবে স্থাপনা গড়ে তুলেছেন সেলিম নামে এক ব্যক্তি। সেলিম বান্দরবান সদর উপজেলার সুয়ালক ইউনিয়নের ভাঙারী ব্যবসায়ী।

অভিযোগ রয়েছে, সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে তিনি অবৈধভাবে দোকানপাট ও বসতঘর নির্মাণ করেছেন।

জানা যায়. সেলিম বান্দরবানে ব্যবসা করলেও মূলত কুমিল্লার বাসিন্দা। এলাকাবাসীর প্রশ্ন, অন্য জেলা থেকে বান্দরবানে এসে কিভাবে সরকারি জায়গা দখল করে দোকানপাট ও ঘর নির্মাণ করতে পারে?

স্থানীয়দের অভিযোগ, অবৈধভাবে সরকারি জায়গা দখল করা নিয়ে কেউ কথা বলতেও ভয় পায়। এ ব্যাপারে কেউ কথা বললেই ঘুম-খুনের হুমকি দেন সেলিম।

সরেজমিনে দেখা যায়, বান্দরবান-কেরানীহাট সড়কের জায়গা দখল করে বেশ কয়েকটি স্থাপনা (দোকানপাট ও বসতঘর) নির্মাণ করেছেন সেলিম। প্রথমে গড়ে তোলা হয়েছিল একটি দোকান। দোকানের পাশে ছোট্ট ঝিরি। ঝিরির কিনারায় মাটির নিচ থেকে ইটের মাধ্যমে গড়ে তুলেছে একটি বসতঘর। বসতঘরের কাজও প্রায় শেষ পর্যায়ে। বান্দরবান-কেরানীহাট সড়কের অন্যপাশে তার ভাঙারী দোকান। সেটিও সড়ক ও জনপথ বিভাগের জায়গার উপর গড়ে তোলা হয়েছে বলে জানা যায়।

বাংলাদেশ সড়ক ও মহাসড়ক আইন অনুযায়ী, সড়ক বা মহাসড়কের ৬০ ফুটের মধ্যে কোনো স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না। কিন্তু সেলিম মহাসড়কের মাত্র ৩ ফুটের মধ্যে গড়ে তুলেছে দোকানপাট ও বসতঘর। এছাড়া বান্দরবান-রাঙামাটি সড়কের চন্দ্রঘোনা পৌরসভার সেগুন বাগিচা এলাকায় সড়ক ও জনপথের (সওজ) জায়গায় প্রায় ২০টিরও বেশি অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলা হয়েছে।

লাম্বা রাস্তা এলাকার বাসিন্দা আসরাফ আলী বলেন, স্থানীয়দের সাহস নেই সরকারি জায়গা দখল করে দোকানপাট বা বসতঘর তৈরি করার। কিন্তু সেলিম সরকারী কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে দোকানপাট ও বসতঘর তৈরি করেছে।

পাশ্ববর্তী পাহাড়ের মালিক শৈনাচিং মারমা জানান, সরকারি জায়গা দখল করে দোকানপাট ও বসতঘর নির্মাণ করতে নিষেধ করেছিলাম। কিন্তু সে নির্মাণ করেছে।

তিনি আরও জানান, ২ লাখ টাকার বিনিময়ে দোকানপাট ও বসতঘর নির্মাণ করেছে সেলিম।

সওজের কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে সরকারি জায়গা দখল করে স্থাপনা নির্মাণ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিষয়টি স্বীকার করেন সেলিম। এসময় সংবাদটি প্রকাশ না করার জন্য এ প্রতিবেদককে অর্থ দিয়ে ম্যানেজ করার চেষ্টা করে।

এ ব্যাপারে বান্দরবান সড়ক ও জনপদের নির্বাহী প্রকৌশলী মোসলেহ উদ্দিন চৌধুরী জানান, সড়কটির কাজ চলছে। আগামী ডিসেম্বরের শেষের দিকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সওজকে সড়কটি বুঝিয়ে দেবে। বিষয়টি আমি সেনাবাহিনীকে অবহিত করবো।

তিনি আরও বলেন, উচ্ছেদ অভিযান শুরু হলে সাংবাদিকদেরও জানানো হবে।

আরও পড়ুন