কক্সবাজার প্রতিনিধি »
কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঈদগাঁওর কলেজ গেইট এলাকায় হানিফ পরিবহনের বাসের চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী সদ্য এসএসসি উত্তীর্ণ এক শিক্ষার্থীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।
এ ঘটনায় মুমূর্ষাবস্থায় আরো তিনজনকে চকরিয়ার মালুমঘাট খ্রিষ্টান হসপিটালে নেয়া হয়। সেখান থেকে এক শিক্ষার্থীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। আহতদের অবস্থাও আশংকাজনক। তারা সকলে ঈদগাঁহ কেজি স্কুলের শিক্ষার্থী।
মঙ্গলবার (৭ মে) সকাল ১০টার দিকে ঈদগাঁওর কলেজ গেইট জামে মসজিদের সামনে এ ভয়াবহ দূর্ঘটনাটি ঘটে।
বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা ঘাতক হানিফ পরিবহনের বাসে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। ঈদগাঁও বাসস্টেশনস্থ কেজি স্কুলের সামনে টায়ার ও অন্যান্য দ্রব্য এনে আগুন দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। এতে উভয় পাশে প্রায় ২ঘন্টা যানবাহন আটকে থাকে।
নিহত ইমরান (১৮) কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁওর কালিরছরা উত্তরপাড়ার প্রবাসী আবু তাহেরের ছেলে ও ঈদগাহ কেজি স্কুল হতে সদ্য এসএসসি উত্তীর্ণ। আর আহতরা হলেন, কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁওর কালিরছরার নুরুল আলমের ছেলে শামীমুর রহমান (১৭), শামশুল আলমের ছেলে শামীমুল আলম রাহুল (১৭) ও নুরুল আলমের ছেলে জয়নাল আবেদীন (১৭)। তারা সবাই ঈদগাহ কেজি স্কুলের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী। তাদের মাঝে শামীমকে আশংকাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ৯টার দিকে এক মোটরসাইকেলে চার শিক্ষার্থী মিষ্টি কিনতে ঈদগাঁও বাস স্টেশনে যায়। মিষ্টি নিয়ে ১০টার দিকে বাসায় ফেরার কালে কলেজ গেইট এলে চট্টগ্রামমুখী হানিফ পরিবহণের (চট্টমেট্টো-ব-১১-০২৪৩) বাসটি উল্টো পথে এস মোটর সাইকেলকে চাপা দেয়। এতে আরোহীসহ মোটর সাইকেলটি বাসের নিচে ঢুকে যায়। মোটরসাইকেল ও আরোহীসহ গাড়িটি সামনে বেশ কিছুদুর চলে আসে। এতে ক্ষতবিক্ষত আরোহীদের মাঝে ইমরান ঘটনাস্থলে মারা যায়।
এদিকে শিক্ষার্থী নিহতের খবর ছড়িয়ে পড়ায় বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা ঘটনাস্থলে এসে বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়ায় ভয়ে উভয়পাশে আটকা পড়ে যানবাহন। শিক্ষার্থীরা বাসস্টেশন এলাকায় টায়ার ও অন্যদ্রব্য দিয়ে আগুন দেয়। এতে প্রায় ২ ঘন্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। এর রেশ দক্ষিণে প্রায় রামু ও উত্তরে ইসলামপুর পর্যন্ত পড়ে।
খবর পেয়ে ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ও রামু দমকল বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনে যান চলাচল স্বাভাবিক করে।
ঈদগাহ আদর্শ শিক্ষা নিকেতন (কেজি স্কুল)’র প্রধান শিক্ষক এ কে এম আলমগীর জানান, খবর পেয়েছি আমাদের কিছু শিক্ষার্থী মর্মান্তিক সড়কদূর্ঘটনায় পড়েছে। একজন মারাগেছে আর অপর তিনজন আহতাবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। এদের অবস্থাও আশংকাজনক।
ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ (ভারপ্রাপ্ত) এসআই সনজিদ জানান, দূর্ঘটনায় এক শিক্ষার্থী মারা গেছেন। আগুনে পোড়া ঘাতক বাস ও মোটরসাইকেলটি জব্দ করে রামু ক্রসিং হাইওয়ে পুলিশকে জিম্মায় দেয়া হয়েছে।
বাংলাধারা/এফএস/এমআর