দক্ষিণ চট্টগ্রামে মাহিন্দ্রা ও বাসচালকদের মধ্যে চলমান দ্বন্দ্বের জেরে টানা চারদিন ধরে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে করে আনোয়ারা, কর্ণফুলী, বাঁশখালী, চন্দনাইশ ও পেকুয়াসহ বিস্তীর্ণ অঞ্চলের সাধারণ মানুষ পড়েছেন চরম দুর্ভোগে।
পিএবি সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক ইউনিয়নের আওতাধীন শত শত বাস চালক ও শ্রমিক বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) থেকে বাস চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেন। তাদের অভিযোগ, সড়কে অবৈধ ও লাইসেন্সবিহীন মাহিন্দ্রা যানবাহন চলাচল করছে, যারা মাঝেমধ্যেই বাসচালকদের ওপর হামলা করছে। এর প্রতিবাদে শনিবার ধর্মঘট ও মানববন্ধনও করেন তারা।
পরিবহন শ্রমিক নেতা মোস্তাক আহমেদ জানান, “বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এখনও কোনো সমাধান হয়নি। আজ মালিক ও শ্রমিকদের নিয়ে একটি ১০ সদস্যের কমিটির বৈঠক রয়েছে। সেই বৈঠকেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
এদিকে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় ভাড়া বেড়েছে তিন গুণ পর্যন্ত। এই সুযোগে সিএনজি অটোরিকশা চালকরা বাড়তি ভাড়া আদায় করছে বলে অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা। অনেককে দীর্ঘক্ষণ রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে গাড়ির অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
ভুক্তভোগী এক যাত্রী বলেন, “সকাল থেকে বাসের জন্য দাঁড়িয়ে ছিলাম। কিন্তু কোনো বাস নেই। বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত ভাড়ায় সিএনজিতে করে যেতে হলো। বাস বন্ধের কোনো পূর্বঘোষণা ছিল না, তাই বেশি ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।”
উল্লেখ্য, পিএবি সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজারো মানুষ চট্টগ্রাম শহরে যাতায়াত করে। বাস চলাচল বন্ধ থাকায় দক্ষিণ জেলার বৃহৎ একটি অংশ কার্যত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
মন্জু/ এআরই/বাংলাধারা