শেষ দুই ওভারে জয়ের জন্য দুর্বার রাজশাহীর প্রয়োজন ছিল ২৫ রান। উইকেটে ছিলেন দুই অপরাজিত ব্যাটার এনামুল হক বিজয় ও রায়ান বার্ল। দুর্দান্ত ব্যাট করতে থাকা রাজশাহীর দুই ব্যাটার শেষ পর্যন্ত জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেনি। ৭ রানের পরাজয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন তারা। খুলনা টাইগার্সের দেওয়া ২১০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ২০২ রানে থামে রাজশাহী।
চলমান বিপিএলে নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচেই জিতেছিল খুলনা। তবে মুদ্রার উল্টো পিঠ দেখতে সময় লাগেনি, এরপর টানা চার ম্যাচ হেরেছে মেহেদী হাসান মিরাজের দল। অবশেষে জয়ের দেখা পেল তারা।
চট্টগ্রামে এদিন টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় খুলনা। তাদের ভালো শুরু এনে দেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ ও মেহেদী হাসান মিরাজ। দুজনেই করেছেন আক্রমণাত্মক ব্যাটিং। প্রথম দুই ওভারেই স্কোরবোর্ডে ৩০ রান যোগ করেন তারা। ১৪ বলে ২৭ রান করা নাঈমকে বোল্ড করে রাজশাহীকে প্রথম ব্রেক থ্রু এনে দেন জিসান আলম।
এরপর মিরাজকে ফেরান তাসকিন আহমেদ। আউট হওয়ার আগে রাজশাহীর এ পেসারকে টানা দুটি ছক্কা মেরেছেন মিরাজ। ১৩ বলে দুইশো স্ট্রাইকরেটে ২৬ রান আসে খুলনা অধিনায়কের ব্যাট থেকে। অ্যালেক্স রস ফিরেছেন রান আউট হয়ে।
তবে দারুণ ব্যাটিং করেছেন আফিফ হোসেন ধ্রুব ও উইলিয়াম বোসিস্তো। দুজনেই শুরুতে করেছেন দায়িত্বশীল ব্যাটিং। তবে সময় যত গড়িয়েছে ততই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছেন তারা। ৪২ বলে ৫৬ রান করে থামেন আফিফ। বোসিস্তোর ব্যাট থেকে এসেছে ৩৭ বলে ৫৫ রানের ইনিংস।
শেষের দিকে ঝড় তুলেছিলেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। রাজশাহীর বোলারদের ওপর রীতিমত তান্ডব চালিয়েছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ১২ বলে ৪ ছক্কায় ৩০ রান করে অপরাজিত ছিরেন তিনি।
রাজশাহীর হয়ে ২টি উইকেট নিয়েছেন তাসকিন আহমেদ। ১টি উইকেট শিকার করেছেন জিসান আলম।
রান তাড়ায় রাজশাহীকে দুর্দান্ত শুরু এনে দেন মোহাম্মদ জিসান। খুলনার বোলারদের বিপক্ষে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন ডানহাতি এ ব্যাটার। তবে আরেক ওপেনার মোহাম্মদ হারিস বেশ ভুগেছেন। একপ্রান্তে জিসান আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করলেও হারিস সাবলীল ছিলেন না। ১৫ বলে ৩০ রান করে ফিরেছেন জিসান। তাতেই ভাঙে ৪৭ রানের জুটি। হারিস ফিরেছেন ১৫ বলে ১৫ রান করে।
তবে রাজশাহীকে ম্যাচে রাখেন এনামুল হক বিজয় ও ইয়াসির আলী রাব্বি। দুজনেই করেছেন দারুণ ব্যাটিং। ১৭ বলে ২০ রান করা রাব্বিকে ফেরান আবু হায়দার রনি। তাতেই ভাঙে ৫৮ রানের জুটি।
রাব্বি ফিরলেও রায়ান বার্লকে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যান বিজয়। খুলনার বোলারদের ওপর রীতিমত তান্ডব চালিয়েছেন রাজশাহী অধিনায়ক। শেষ ওভারে তাদের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১৭ রান। পুরো ম্যাচে দুর্দান্ত ব্যাটিং করা বিজয় সেই সমীকরণ মেলাতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ৫৭ বলে ১০০ রান করে অপরাজিত থাকেন বিজয়।
