বাংলাধারা ডেস্ক »
বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালি চুয়ার্ড (Nathalie Chuard) বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসানের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
মঙ্গলবার (১৫ জুন) বিজিএমইএ কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাতে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকাস্থ সুইস দূতাবাসের হেড অব পলিটিক্যাল, ইকোনোমিক এন্ড কালচারাল এ্যাফেয়ার্স, থমাস বাউমগার্টনার (Thomas Baumgartner) এবং বিজিএমইএ এর প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও সহ-সভাপতি মোঃ শহিদউল্লাহ আজিম।
এসময় তারা বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের বিভিন্ন প্রাসঙ্গিক বিষয়াবলী এবং সামাজিক ও পরিবেশগত টেকসই সামর্থ্য অর্জনের ক্ষেত্রে শিল্পের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করেন।
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান সুইস রাষ্ট্রদূত’কে বিগত বছরগুলো জুড়ে শিল্পের রূপান্তর বিষয়ে অবহিত করেন। এছাড়া তিনি বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ প্রক্রিয়া সাবলীল রাখতে সুইজারল্যান্ড সরকারকে জিএসপি প্রোগ্রামের আওতায় ইবিএ স্কীম ১০ বছরের জন্য সম্প্রসারণের অনুরোধ জানান।
এসময় তারা শিল্পের ভবিষ্যত সম্ভাবনা এবং উৎপাদনশীলতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি, প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতা এবং পণ্যের বৈচিত্র্যকরণ (বিশেষ করে নন কটন) এর ক্ষেত্রে শিল্পকে আরও উন্নততর করার প্রয়োজনীয়তা নিয়েও আলোচনা করেন।
আলোচনায় বাংলাদেশে নন-কটন এর ক্ষেত্রে বিদেশী বিনিয়োগের উজ্জ্বল সম্ভাবনা এবং টেকনিক্যাল টেক্সটাইল, হালকা প্রকৌশলখাত এবং হাই-ভ্যালুড পোশাকের উপর গুরুত্বারোপ করা হয়। পোশাক শিল্পের রুপান্তরের না বলা গল্পগুলো বিশ্ববাসীকে জানানোর বিষয়েও সুইস রাষ্ট্রদূতের সহযোগিতা কামনা করেন এবং সোশ্যাল অডিটের জন্য ইউনিফায়েড কোড অব কন্ডাক্ট এর বিষয়ে সুইস দূতাবাসকে সহযোগিতা প্রদানের অনুরোধ জানান।
এসময় সুইস রাষ্ট্রদূত সাসটেইনেবল ম্যানুফ্যাকচারিং ক্ষেত্রে পোশাক শিল্পের যে অগ্রগতি ঘটেছে, তার প্রশংসা করেন এবং সুইস সরকারের পক্ষ থেকে শিল্পকে সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দেন।
বাংলাধারা/এফএস/এআই