বাংলাধারা ডেস্ক »
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ নিচ্ছিলেন, তখন কে বা কারা বিজেপির ওয়েবসাইট হ্যাক করে। তারপর সাইটের সব পেজে গরুর মাংসের ছবিসহ ছয়টি রেসিপির আদ্যোপান্ত জুড়ে দেয়। তবে কেউ এই হ্যাকিং-এর দায় স্বীকার করেনি। বিজেপির ওয়েবসাইট হ্যাক হওয়ার বিষয়টি প্রথম নজরে আনেন ফরাসি সাইবার নিরাপত্তা গবেষক ইলিয়ট এল্ডারসন।
টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘ডিয়ার @ BJP4India আপনাদের ওয়েবসাইট হ্যাক হয়েছে। এবার ওয়েবসাইট রিস্টোর করতে কতদিন লাগবে?’ অপর একটি টুইটে তিনি ব্যঙ্গ করে বলেন, ‘জানতাম না বিজেপি মানে বিফ জনতা পার্টি’?’ সাইটটি হ্যাক হওয়ার পরপরই বিজেপি কর্তৃপক্ষ সাইট ডাউন করে দিয়ে তা অন্য একটি সাইটে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করে বলে জানায় ভারতীয় গণমাধ্যম।
ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, হ্যাক হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই ডাউন হয় যায় ওয়েবসাইটটি। এরপর দিল্লি বিজেপির ওয়েবসাইটকে বিজেপি ইন্ডিয়া ওয়েবসাইটে রি-ডিরেক্ট করে দেওয়া হয়। নির্বাচনের আগেও বিজেপির ওয়েবসাইট হ্যাক করা হয়েছিল এবং অনেকদিন ওয়েবসাইট ডাউন ছিল। তখন অবশ্য কোনও মাংসের ছবি পোস্ট করা হয়নি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অফ ইন্ডিয়ার খবর অনুযায়ী, শুধু মুসলমানরা নয়, খ্রিস্টান অধ্যুষিত মেঘালয়েও গরুর মাংস খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। অধিকার কর্মীরা অভিযোগ জানিয়ে বলেছেন, গোরক্ষকদের নিন্দায় মোদি সরকার অনিচ্ছুক। আর পুলিশও তাদের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেয় না। মোদি সরকার ক্ষমতায় আসীন হওয়ার পর থেকেই গরু নিয়ে বিভিন্ন গুজব তুলে মুসলিমদের ওপর হিন্দুত্ববাদী নিপীড়ন-নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ড শুরু হয়।
২০১৫ সালের ২৮ সেপ্টেম্বরে ভারতের উত্তর প্রদেশের দাদরি এলাকায় গরুর মাংস সংরক্ষণের গুজবে মোহাম্মদ আখলাককে পিটিয়ে হত্যা করে গ্রামবাসী। এর ধারাবাহিকতায় এখনও সেখানে গরুকে হিন্দুত্ববাদী অস্ত্র বানিয়ে মুসলিম নিপীড়ন অব্যাহত রয়েছে।
বাংলাধারা/এফএস/এমআর/এসবি