বাংলাধারা ডেস্ক »
বায়ু দূষণের বিপদজনক সূচকে অবস্থান করছে রাজধানী ঢাকার জলবায়ু। বিশ্বের দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় এবারও শীর্ষ তৃতীয় অবস্থান ধরে রেখেছে ঢাকা। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুদূষণ পরিমাপকারী সংস্থা আইকিউ এয়ার ইনডেক্সের তিনদিন ধরে চালানো এক পরিক্ষায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুদূষণ পরিমাপকারী সংস্থা আইকিউ এয়ার ইনডেক্সের তথ্য অনুসারে, শনিবার সকাল ৯টার দিকে দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় ৩৩৫ স্কোর নিয়ে শীর্ষস্থানে রয়েছে ঢাকা। আর ২৫১ স্কোর নিয়ে এ তালিকায় পরের স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি। এরপরই রয়েছে ভারতের আরেক শহর মুম্বাই (২২০) ও চীনের বেইজিং (১৯৮)।
একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়। আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর। ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর। আর ৩০১-এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়। এ অবস্থায় বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে। ফলে শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে।
সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে। যেমন- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২ দশমিক ৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদফতর ও বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় যে, ঢাকার বায়ুদূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো: ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলা। বাংলাদেশ স্বাস্থ্য অধিদফতরের মতে, বায়ুদূষণের কারণে বাংলাদেশে প্রতি বছর ৮০ হাজার মানুষ মারা যাচ্ছেন।
জাতিসংঘের তথ্যমতে, বিশ্বব্যাপী প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৯ জন দূষিত বাতাসে শ্বাস নেন এবং বায়ুদূষণের কারণে প্রতিবছর প্রধানত নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের অকাল মৃত্যু ঘটে।
এসইউ