ksrm-ads

৫ ডিসেম্বর ২০২৪

ksrm-ads

বিশ্বমানের স্বাস্থসেবার প্রতিশ্রুতি নিয়ে ইম্পেরিয়াল হাসপাতালের উদ্বোধন

বাংলাধারা প্রতিবেদন »

নগরীতে বিশ্বমানের স্বাস্থসেবার প্রতিশ্রুতি নিয়ে পাহাড়তলী চক্ষু হাসপাতালের পাশে নির্মিত ও নগরবাসীর বহুল প্রত্যাশিত ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে।

শনিবার ( ১৫ মে) সকাল ১০ টায় বিশ্বের খ্যাতনামা কার্ডিয়াক সার্জন ও ভারতের ব্যাঙ্গালুরুর নারায়ণা ইনস্টিটিউট অব কার্ডিয়াক সায়েন্সের প্রতিষ্ঠাতা ডা. দেবী শেঠী হাসপাতালটির উদ্বোধন করেন।

আজ সকালে একটি বিশেষ ফ্লাইটে কলকাতা থেকে চট্টগ্রাম আসেন তিনি। সাথে তাঁর বড় পুত্র বিরেন শেঠীসহ হাসপাতালের একটি টিম ও আছে। দুপুরে ডা. দেবী শেঠী ব্যাঙ্গালুরু ফিরে গেলেও তাঁর টিম থেকে যাবে চট্টগ্রামে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. শেঠী বলেন, উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রতিবেশী দেশ ভারত, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যাওয়া বাংলাদেশির সংখ্যা প্রতিবছর বাড়ছে। আশা করি ইম্পেরিয়াল উন্নত ও বিশ্ববানের স্বাস্থসেবাপ্রার্থীদের প্রত্যাশা পূরণে সক্ষম হবে এবং বিদেশমূখী রোগীর সংখ্যা অনেকাংশে হ্রাস পাবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইম্পেরিয়াল হাসপাতালের বোর্ড চেয়ারম্যান ও চিটাগাং আই ইনফরমারি এন্ড ট্রেনিং কমপ্লেক্সের ম্যানেজিং ট্রাস্টি অধ্যাপক ডা. রবিউল হোসেন।

বিশেষ অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, দৈনিক আজাদীর সম্পাদক এমএ মালেক।

ইম্পেরিয়াল হাসপাতালের বোর্ড মেম্বার ও সিইআইটিসি ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান এম এ মালেক বলেন, আমরা বহুদিন ধরে চট্টগ্রামে বিশ্বমানের স্বাস্থ্যসেবার অভাব বোধ করছিলাম। এখানে উন্নতমানের স্বাস্থ্যসেবা না পাওয়ায় প্রতি বছরই হাজার হাজার মানুষ প্রতিবেশী দেশ ভারতসহ বিশ্বের নানা দেশে ছুটতেন। যেখানে চিকিৎসার পাশাপাশি মানুষকে নানাভাবে হয়রানির শিকার হতে হয়।

তিনি বলেন, আমরা মানুষের এই ভোগান্তির অবসান ঘটাতে চেয়েছি। আমরা চট্টগ্রামের মাপনুষের দোরগোড়ায় বিশ্বমানের স্বাস্থ্যসেবা পৌছে দিতে এ হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেছি। আমরা চট্টগ্রামের অসুস্থ মানুষ এবং তাদের পরিবারকে আর্থিক, শারীরিক ও মানসিক চাপ থেকে মুক্তি দেয়ার জন্য কাজ করব।

তিন আরও বলেন, ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল একেবারে নীরবে চট্টগ্রামের স্বাস্থ্যসেবায় একটি বিপ্লব সাধন করেছে। এখানকার মানুষ আজ থেকে সেই বিপ্লবেরই সুফল পাবেন।

উল্লেখ্য, প্রায় ৯০০ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মান করা হয়েছে ৩৭৫ শয্যাবিশিষ্ট আধুনিক চিকিৎসাকেন্দ্র ইম্পেরিয়াল হাসপাতালটি। এর হৃদরোগ বিভাগের চিকিৎসা থেকে শুরু করে যাবতীয় কার্যক্রম ডা. দেবী শেঠীর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হবে। এ বিভাগের নাম দেয়া হয়েছে ইম্পেরিয়াল-নারায়ণা কার্ডিয়াক বিভাগ।

বাংলাধারা/এফএস/এমআর/টিএম/বি

আরও পড়ুন