১২ জুলাই ২০২৫

বেতন নিয়ে আক্ষেপ চসিক কর্মীদের

বাংলাধারা প্রতিবেদন »

প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা ছিল সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঈদ উল আজহার বেতন ও বোনাস সঙ্গে দেওয়ার। অথচ প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা উপেক্ষিত হয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে (চসিক)। কর্মীদের বেতন না দিয়েই সিটি কর্পোরেশন ছাড়লেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।

জানা গেছে, প্রতি মাসের ১ তারিখে চসিকের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের একাউন্টে বেতন ঢুকে যেত। অথচ ঈদ উল আজহার বোনাস পেলেও জুলাই মাসের বেতন পাননি কেউই।

চসিকের কয়েকজন কর্মকর্তা আক্ষেপ করে বলেন, ঈদ উল আজহার বোনাস পেলেও জুলাই মাসের বেতন পাননি কেউই। ঠিকসময়ে বেতন পেলে বাসা ভাড়া ও দোকানদারের পাওনা পরিশোধ করা যেত। কিন্তু মেয়র আমাদের বেতন দেওয়ার কথা চিন্তাও করলেন না।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে পাঁচ বছর দায়িত্ব পালনকালে দেনার দায় থেকে বের করতে পারেননি আ জ ম নাছির উদ্দীন। বরং প্রায় ৮১৪ কোটি টাকা দেনার দায় চসিকের ঘাড়ে চাপিয়ে মেয়াদ শেষে বিদায় নিলেন তিনি। এছাড়া বিদায়বেলায় চসিকে নিজের পছন্দের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে জ্যেষ্ঠতা ডিঙ্গিয়ে প্রমোশন দিয়ে বেশ সমালোচিত হন তিনি।

এদিকে, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন। চসিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত তিনি প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাবেন।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ৬ আগস্ট আ জ ম নাছির উদ্দীন মেয়রের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। স্থানীয় সরকার আইন অনুযায়ী পর্ষদের মেয়াদ পাঁচ বছর। এই হিসেবে বর্তমান পর্ষদের মেয়াদ শেষ হয়েছে গতকাল (৫ আগস্ট)।

নিয়ম অনুযায়ী মেয়াদপূর্তির ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। সে হিসাবে ২৯ মার্চ ভোটের তারিখ নির্ধারণ করে নির্বাচন কমিশন তফসিলও ঘোষণা করেছিল। কিন্তু করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ভোটের এক সপ্তাহ আগে ২১ মার্চ নির্বাচন স্থগিত করেন ইসি।

বাংলাধারা/এফএস/টিএম

আরও পড়ুন