চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে আমন ধানের বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে আমনের বীজতলা তৈরির জন্য এখন জমি উপযোগী হয়েছে।পাশাপাশি আউশধান রোপন করছেন অনেকেই।
কৃষকরা জানান, সঠিক সময়ে বৃষ্টি না হওয়ায় আউশধান কম চাষ করা হয়েছে। তবে আমনধান ব্যাপক আকারে চাষ করার জন্য তাঁরা প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আউশধান রোপন প্রায় শেষ পর্যায় চলে আসছে, এ জন্য আমন ধানের বীজতলা তৈরি করছেন তারা। আষাঢ় মাসে টানা বৃষ্টিতে বীজতলা তৈরির উপযুক্ত সময়।
রবিবার (৭ জুলাই) সকালে পৌরসভাসহ উপজেলার সারোয়াতলি, করলডেঙ্গা, আমুচিয়া, জৈষ্টপুরা এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, চলতি আমন মৌসুমের বীজতলা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। একদিকে চলছে উচু জমিতে বীজতলা তৈরির কাজ। অন্যদিকে চারা রোপণের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে অন্যান্য জমি।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে, বোয়ালখালীতে এবার আমনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে।
চলতি মৌসুমে আমন ধান আবাদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে পৌরসভাসহ উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে কৃষকদের প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া এবার বোয়ালখালীতে পার্টনার প্রকল্পের আওতায় উন্নত জাতের নতুন ব্রি ধান ১০৩ এর প্রদর্শনী দেওয়া হয়েছে।
দীর্ঘ ৪০ বছরেরও বেশি সময় চাষাবাদের সাথে জড়িত আহলা করলডেঙ্গা ইউনিয়নের উত্তর ভূর্ষি এলাকার কৃষক বিমল দাশ বলেন, এবার তিনি ১২০ কেজি ধানের বীজতলা তৈরি করেছেন। কৃষি অফিস থেকে পেয়েছেন ৫ কেজি উপসী জাতের বীজধান।
সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এবার ৭ একর জমিতে আমন ধান চাষ করবেন তিনি। বীজতলা তৈরি হতে প্রায় ৩০থেকে ৪০ দিন সময় লাগবে। এই সময়ের মধ্যে চাষের জমি তৈরি করবো।
আমুচিয়া ইউনিয়নের কৃষক মো. আব্দুল জলিল বলেন, ৪২ কানি জমিতে আমন চাষ করবেন তিনি। এ জন্য ২১০ কেজি ধানের জন্য বীজতলা তৈরি করছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আতিক উল্লাহ বলেন, আউশধান রোপনের পাশাপাশি কৃষকেরা আমনধানের বীজতলা তৈরি করছেন।আষাঢ় মাসে আমন ধানের বীজতলা তৈরির সময়। পানিতে ডুবে না এমন উঁচু খোলামেলা জমিতে বীজতলা তৈরি করতে হবে। জলাবদ্ধতার কারণে রোপা আমনের বীজতলা করার মতো জায়গা না থাকলে ভাসমান বীজতলা করে চারা উৎপাদন করা যায়। আশপাশের জমির থেকে একটু উঁচু জমি আমন ধানের বীজতলার জন্য আদর্শ। এ বিষয়ে কৃষকদের পরামর্শ ও সহযোগিতা করতে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠে রয়েছেন।