আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমরা চীন সফরে যাচ্ছি। চীনের সঙ্গে আমাদের উন্নয়নে পার্টনারশিপ রয়েছে। ভারত বাংলাদেশের রাজনৈতিক বন্ধু, চীন উন্নয়নের বন্ধু।
তিনি বলেন, কর্ণফুলীর তলদেশে সেতু, পদ্মা সেতু, ঢাকা-চট্টগ্রাম চার লাইন কনন্সট্রাকশন চীনারা করেছে। মেট্রোরেলের জন্য জাপান সহযোগিতা করেছে। উন্নয়নের জন্য যেখানে আমি সুবিধা পাবো সেটা আমি কেন নেব না? আমার তো সাহায্য দরকার।
শনিবার (৬ জুলাই) রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের বলেন, নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় এলেন। পরদিন সকালে কেউ ঘুম থেকে ওঠেনি। সেদিন ভারতীয় হাইকমিশন বন্ধ। ওইদিন তাদের দরজার সামনে ফুল-মিষ্টি নিয়ে কোনো দল হাজির হয়েছে? মনে নেই! নতজানু কারা? মেরুদণ্ডহীনরা নতজানু হয়েছে। শেখ হাসিনা কখনো নতজানু হয়নি।
বিএনপি আন্দোলনের ইস্যু পায় না উল্লখ করে কাদের বলেন, বিএনপি আন্দোলনের যৌক্তিক কোনো ইস্যু খুঁজে পায় না। তারা নিজেরা রাস্তায় একটা আন্দোলন করতে পারে না। এখন তারা অন্যের ইস্যু খুঁজে বেড়ায়। খালেদা জিয়ার অসুস্থতা তারা আন্দোলনের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে। তারা খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ চেয়েছে। কে শোনে জাতিসংঘের কথা? গাজা যুদ্ধ বন্ধে এত প্রস্তাব হয়েছে? জাতিসংঘের কথায় কি যুদ্ধ বন্ধ হয়েছে? জাতিসংঘের কথায় কি ইউক্রেনের যুদ্ধ বন্ধ হয়েছে?
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি এখন কোটা আন্দোলনে যুক্ত হয়েছে। কোটার বিষয়ে আদালতের আদেশ আছে। এখানে সরকারের কি দোষ?
পার্বত্য চট্টগ্রাম ইস্যুতে তিনি বলেন, শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন সম্পন্ন হতে অনেক সময় লাগবে। সেখানে মূল সমস্যা ভূমি। এর সমাধান এত সহজ নয়। এ সমস্যা ছাড়া গত ১৬ বছরে পার্বত্য চট্টগ্রাম বদলে গেছে। যেদিকে তাকাই শুধু উন্নয়ন। যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রশ্ন আসলে অন্য এলাকার সঙ্গে তুলনা করলে পার্বত্য চট্টগ্রামেও একই উন্নয়ন হয়েছে।
তিনি বলেন, একটা সময় ছিল আনারস পাহাড়ের প্রধান ফল। এক সময় এই ফল ঢাকায় আসতে পারত না। আজ যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নতির কারণে প্রতিদিন সুমিষ্ট ফল ঢাকা-চট্টগ্রাম চলে আসে। এখন শুধু আনারস নয়, সব ধরনের ফল পাহাড়ে হয়। পাহাড়ের মতো আম আমি সিঙ্গাপুরে দেখিনি। এখন সিঙ্গাপুরের চেয়েও উন্নত মানের ফল পার্বত্য চট্টগ্রামে পাওয়া যায়।