জাতীয় ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইনে এবার কক্সবাজারের ৪ লাখ ৮২ হাজার ৬৫৯ শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর টার্গেট করা হয়েছে। শনিবার(১ জুন) সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত দিনব্যাপী এ ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডা. আসিফ আহমেদ হাওলাদার।
মঙ্গলবার (২৮ মে) দুপুরে জেলা ইপিআই কনফারেন্স হর রুমে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে জেলা সিভিল সার্জন জানান, জাতীয় ভিটামিন ক্যাম্পেইনে জেলার আটটি উপজেলার এক হাজার ৮১৪টি কেন্দ্রে ৬ মাস থেকে ১১ মাস বয়সী ৫৯ হাজার ২৬১ জনকে নীল রং-এর এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী চার লাখ ২৩ হাজার ৩৯৮ জন শিশুকে লাল রংয়ের একটি করে ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর আওতায় আনা হবে।
তিনি আরো জানান, কক্সবাজারের স্থানীয় ৪ লাখ ৮২ হাজার ৬৫৯ শিশুর পাশাপাশি নিজদেশে বাস্তুচ্যুত হয়ে উখিয়া-টেকনাফে আশ্রিত ৩৩ ক্যাম্পের এক লাখ ৫২ হাজার ৩৫৭ রোহিঙ্গা শিশুকেও ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর আওতায় আনার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এর মাঝে নীল ক্যাপসুল পাবে ১৫ হাজার ৬৬৫ জন আর লাল ক্যাপসুল পাবে এক লাখ ৩৬ হাজার ৬৯২ জন। তবে, অতীতের মতো, একই দিনে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে না। স্থানীয়দের ক্যাম্পেইন শেষে রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত মতে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর আয়োজন করা হবে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে আরো জানানো হয়, টিকা খাওয়ানোর জন্য ভ্রাম্যমান টিম থাকবে কয়েকটি। এরমাঝে বাস টার্মিনাল, রেল স্টেশন অন্যতম। রেল আসা-যাওয়া দু’টাইমেই টিকার টিম স্টেশনে থাকবে।
সিভিল সার্জন ডা. আসিফ আহমেদ হাওলাদারের সভাপতিত্বে সিভিল সার্জন অফিস আয়োজিত সাংবাদিকদের অবহিতকরণ সভায় ভিটামিন-এ’র অভাবজনিত রোগ নিয়ে প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. শাহ ফাহিম আহমাদ ফয়সাল।
তিনি জানান, শুধু ক্যাপসুল নয়- ভিটামিন-এ’সহ নানা পুষ্টিগুণ পুরণ করতে নির্দিষ্ট সময়ের পর চিকিৎসা শাস্ত্র মতে, শিশুদের রঙ্গীন শাক সবজি খাওয়ানো দরকার। মৌসুমী ফলমূলে সবধরণের ভিটামিন মিলে। এরপরও তৃণমূলের অসচেতন জনগোষ্টিকে রাতকানা রোগ হতে রক্ষায় বছরে দু’বার ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইন চালানো হয়। জাতীয় ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইন সম্পর্কে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে আশপাশে সচেতনতা বাড়াতে অনুরোধ জানান তিনি।
এসময়, টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জুনিয়র কনসালটেন্ট (মেডিসিন) ডা. রাজীব কুমার নাথ, রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. আবু শোয়েব সবুজ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সার্ভিলেন ইমুনাইজেশন মেডিকেল অফিসার ডা. ইশতিয়াক, ইউনিসেফের ইমার্জেন্সি নিউট্রিশন অফিসার মাহমুদ হাসান তুহিন, জেলা ইপিআই সুপারিনটেনডেন্ট সাইফুল হকসহ বিভিন্ন মিডিয়ার গণমাধ্যমকর্মী উপস্থিত ছিলেন।