ksrm-ads

২৫ মার্চ ২০২৫

ksrm-ads

ভোট চুরির বিরুদ্ধে খেলা হবে: ওবায়দুল কাদের

বাংলাধারা ডেস্ক »

রাজনীতির মাঠে বিএনপিকে মোকাবিলার ঘোষণা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, ‌‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে খেলা হবে, ভোট চুরির বিরুদ্ধে খেলা হবে। রাজপথ, জনপদ, শহর, গ্রাম, পাড়া-মহল্লা সবখানেই সতর্কতার সঙ্গে প্রস্তুত থাকতে হবে। হামলা হলে পাল্টা হামলা হবে কিনা সময়ই বলে দেবে।’

শনিবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে ময়মনসিংহ নগরীর সার্কিট হাউস ময়দানে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ১৫ আগস্টের মাস্টারমাইন্ড। তার ছেলে তারেক রহমানের নির্দেশে ২১ আগস্ট হরকাতুল জিহাদের নেতা মুফতি হান্নান বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল। হাওয়া ভবনের যুবরাজ তারেক রহমান চেষ্টা করেছিলেন শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে।’

তিনি অভিযোগ করেন, ‘তারেক রহমান গতকালও ঢাকার এক ক্যাডারের সঙ্গে কথা বলেছেন। লন্ডন থেকে তিনি বলেছেন- তোমরা রাস্তা ছাড়বে না, শেখ হাসিনা পালানোর পথ খুঁজছে। তার এমপি-মন্ত্রীরাও পালানোর পথ খুঁজছেন।’

আওয়ামী লীগ সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপে দেশ এগিয়ে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে উঠেছে। ময়মনসিংহে এসে দেখেছি পুরো নগরী নেতাদের পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন, বিলবোর্ড আর তোরণে ছেয়ে গেছে। এসব ছবিতে বয়স্ক নেতাকেও যুবকের মতো দেখায়। আমার নিজের ছবিও চিনতে কষ্ট হয়। ডিজিটাল বাংলাদেশের কারণেই সব ডিজিটাল হয়ে যাচ্ছে।

‘সজিব ওয়াজেদ জয়ের সহযোগিতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ হয়েছে। এসব প্যানা-পোস্টার ঠিকই ছিঁড়ে যাবে। কিন্তু আপনারা (জনগণ) আমাদেরকে অন্তরে রাখবেন।’

সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট জহিরুল হক খোকা। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মোহিত উর রহমান শান্তর সঞ্চালনায় সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সাংস্কৃতিক সম্পাদক বাবু অসিম কুমার উকিল, সদস্য মারুফা আক্তার পপি, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী মো. শরীফ আহমেদ, সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ বাবু প্রমুখ।

এর আগে ভোর থেকে নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেন। নারীদের বিভিন্ন গ্রুপ এক রঙের শাড়ি, পুরুষেরা তাদের নেতার ছবি সম্বলিত টিশার্ট পরে সমাবেশস্থলে হাজির হন। পছন্দের নেতাকে সভাপতি-সম্পাদক দেখতে চেয়ে স্লোগান দেন তারা। বেলা ১২টার দিকে জাতীয় সঙ্গীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মেলন শুরু হয়।

এর আগে, ২০১৬ সালের ৩০ এপ্রিল ময়মনসিংহ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ওই দিন সম্মেলনস্থলে কমিটি ঘোষণা করা হয়নি। পরে একই বছরের ১০ অক্টোবর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে অ্যাডভোকেট জহিরুল হক খোকা ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুলের নাম ঘোষণা করা হয়। এছাড়া মহানগর কমিটিতে সভাপতি পদে এহতেশামুল আলম ও সাধারণ সম্পাদক পদে মোহিত উর রহমানের নাম ঘোষণা করা হয়।

আরও পড়ুন