বাংলাধারা প্রতিবেদক »
ঈদের ছুটির মতো রাতেও বন্দর নগর চট্টগ্রাম ছাড়ছে মানুষ। এই যেন নাড়ির টানে ঘরে ফিরার দৃশ্য।
বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) থেকে সারাদেশে কঠোর লকাডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। বুধবার (৩০ জুন) লকডাউন সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার পর দিনব্যাপি নগরীর বহদ্দারহাট, একেখান, সিটি গেইট, মুরাদপুর, দেওয়াহাট, অলংকার, জিইসি, আগ্রবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে ছিলো মানুষের উপচে পড়া ভিড়।
সরেজমিনে দেখা যায়, সীমিত আকারের লকডাউন এবং আষাঢ়ের অজর ধারাকে উপেক্ষা করে মানুষের ঘরে ফিরার আগ্রহ ছিলো বেশ প্রবল। দিনভর মানুষের ঘরে ফিরার যে সংগ্রাম যে সংগ্রাম সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত অব্দি চলছে। গণপরিবহন না চললেও ট্রাক, প্রাইভেটকার, কাভার্ড ভ্যানসহ যে যেভাবে পারছে সেভাবে নগর ছাড়ছেন।
হাটহাজারীর বাসিন্দা সৈয়দ জামানের সাথে দেওয়ান হাট মোড়ে দেখা বাংলাধার’র এই প্রতিবেদকের। তিনি বাংলাধারাকে জানান, ৭ দিনের যে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে তাতে করে নগরীতে টিকে থাকা অনেকটা কষ্টসাধ্য হয়ে যাবে। তাই বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতেই আমাকে বাড়ি পৌঁছাতে হবে।
একই কথা জানান পটিয়ার ইবনে হাসান মুরাদ। তিনি বলেন, আমি শহরে ব্যাচেলর থাকি। অফিস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ইতিমধ্যে সব রুমমেট বাড়িতে চলে গেছে। বাসায় একা থাকা সম্ভব নয়। তাই আমিও চলে যাচ্ছি।
যাত্রীদের ভিড়ে রিক্সার পাশাপাশি নগর জুড়ে স্বল্প হারে গণপরিবহনও চলতে দেখা যায়। সেখানে ওঠার জন্য যাত্রীরা রীতিমতো ধাক্কাধাক্কি করছেন।
মধ্যরাতে কীভাবে বাড়ি ফিরবেন এমন প্রশ্নের জবাবে কুমিল্লার সাঈদ মানাম বাংলাধারাকে জানান, একটি রাইড শেয়ারিং অ্যাপের চালকের সাথে যোগাযোগ করেছি তিনি ফেনী পর্যন্ত পৌঁছে দিবেন। এরপর যেকোনো একটা যান ব্যবস্থা করে বাড়ি পৌঁছতে হবে।
বাংলাধারা/এফএস/এআই