সাদমান সময়, মিরসরাই প্রতিনিধি »
দেশে ই-কমার্সের প্রসার ঘটেছে। বিশেষ করে করোনাকালে তা বৃদ্ধি পেয়েছে। এই পরিস্থিতিতে নিত্য-প্রয়োজনীয় পণ্য থেকে শুরু করে লাইফস্টাইলসহ সব ধরণের পণ্যই এখন ই-কমার্সের মাধ্যমে ঘরে বসে কিনছে মানুষ। চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ফেসবুক ভিত্তিক গ্রুপ মিরসরাই ই-কমার্স ফোরাম (মেফ) এর মাধ্যমে উঠে এসেছে অনেক তরুণ উদ্যোক্তা। উদ্যোক্তাদের মধ্যে নারীর সংখ্যা বেশি। তবে এতদিন তাদের সমস্যা ছিল গ্রাহকদের পণ্য ডেলিভারি দেয়া এবং কাস্টমারের সমস্যা পণ্য কেনা। সব কাস্টমারই চায় হোম ডেলিভারি সার্ভস।
এই সমস্যা বিবেচনায় এসব পণ্য উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে গ্রাহকদের কাছে নিরাপদে পৌঁছে দেওয়ার প্রত্যয় নিয়ে যাত্রা শুরু করেছে ‘মহামায়া ডেলিভারি সার্ভিস’।
মহামায়া ডেলিভারি সার্ভিস চট্টগ্রাম শহর, সীতাকুণ্ড ও মিরসরাই উপজেলার মধ্যে পণ্য সরবরাহ কাজ শুরু করেছে। বুধবার (৩০ জুন) মিরসরাই উপজেলার নিজামপুর এলাকায় প্রতিষ্ঠানটির মিরসরাই শাখার কার্যালয় কেক কেটে শুভ উদ্বোধন করা হয়। প্রাথমিকভাবে করেরহাট, বারইয়ারহাট, মিরসরাই, আবুতোরাব, নিজামপুর কলেজ, সাহেরখালী, কমরআলী, অলংকার (সি.ডি. এ মার্কেট) ও আগ্রাবাদ এই ৯ টি এলাকার এজেন্ট নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা শুরু।
প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক আসিফুল ইসলাম জানান, ডেলিভারি সেবাকে সহজ করার জন্য মিরসরাই ও সীতাকুণ্ডের প্রত্যন্ত অঞ্চলের সবগুলো বাজারে এজেন্ট নিয়োগ করা হবে। চট্টগ্রাম শহর, সীতাকুণ্ড ও মিরসরাইয়ের পাশাপাশি চট্টগ্রাম জেলার সব উপজেলাতে এই প্রতিষ্ঠানটি সেবাপ্রদানের পরিকল্পনা রয়েছে। মহামায়া ডেলিভারি সার্ভিসের মাধ্যমে খুব সহজে চট্টগ্রাম জেলার সব উপজেলার সাথে যেকোনো ধরনের অনলাইন পণ্য, ডকুমেন্টস ইত্যাদি পণ্য সরবরাহে খুব সহজ হবে। শহর থেকে গ্রামে, গ্রাম থেকে শহরে যেকোন বৈধ জিনিসপত্র পাঠানোর ক্ষেত্রে মানুষের ভোগান্তি কমাবে।
তিনি আরো জানান, ডেলিভারি কাজ এখনকার বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করবে। পাশাপাশি ছাত্ররাও চাইলে পার্ট টাইম কাজ করতে পারবে। ইতোমধ্যে পার্ট টাইম জব হিসেবে ৯ জন বেকার শিক্ষিত যুবক কাজ করছে। ভবিষ্যতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ৫০ জনের অধিক লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।
ই-কমার্স ব্যবসায়ী তরুণ উদ্যোক্তা রুদরন এর স্বত্বাধিকারী সাফিন আহমেদ খান বলেন, আমি একা ব্যবসা পরিচালনা করি। বেশিরভাগ পণ্য অনলাইনেই বিক্রি হয়, সেক্ষেত্রে প্রায় সব পণ্য নিজেকে ডেলিভারি দিতে হয় যা অনেক সময়ক্ষেপণ এবং কষ্টের। মহামায়া ডেলিভারি সার্ভিসের মাধ্যমে আশা করি সে কষ্ট লাঘব হবে।
নারী উদ্যোক্তা তানজিনা তানজু জানান, আমি একা মেয়ে মানুষ পণ্য ডেলিভারি নিজেই দেই। মাঝে মাঝে আমার ভাইয়ের মাধ্যমে দেই। মহামায়া ডেলিভারি সার্ভিস চালু করার কথা শুনেছি। মফস্বলে এরকম একটি প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন ছিল অনেক দিনের। আমাদেরও কষ্ট কমবে, শুধু সততার সাথে কাজ যেন কওর সেটাই প্রত্যাশা।
মহামায়া ডেলিভারি সার্ভিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী তোফাজ্জেল হোসেন বলেন, খুব শীঘ্রই আমাদের পরিধি বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা চলছে। আশা করি মহামায়া ডেলিভারি সার্ভিসের মাধ্যমে ২৪ থেকে ৩৬ ঘন্টার মধ্যে যেকোনো ধরনের জিনিসপত্র নিশ্চিত ডেলিভারি সেবা দিতে সক্ষম হবে।
বাংলাধারা/এফএস/এআই