ksrm-ads

১৯ এপ্রিল ২০২৫

ksrm-ads

ময়লার ব্যাবসার সিন্ডিকেট দন্দ্বে খুন করা হয় জসিমকে

 চট্টগ্রাম নগরের আনন্দবাজার এলাকায় সাবেক ‘ব্যবসায়িক পার্টনারের’ হাতে খুন হন কৃষকদল নেতা মো. জসিম উদ্দিন (২৫)। এই হত্যা মামলার প্রধান আসামি সহ দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। 

বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং বন্দর থানার চান্দারপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই দুজনকে আটক করা হয়। গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) কাজী মো. তারেক আজিজ।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দায় স্বীকার করে আটক দুজন। তারা জানায় ময়লার ভাগাড়ে ফেলা বাসা-বাড়ির বর্জ্য, মেয়াদোত্তীর্ণ পঁচা-বাসি খাবার, নষ্ট ফলমূল ও বোতল কুড়িয়ে বিক্রি—এসব ব্যবসা নিয়েই গড়ে উঠেছিল সিন্ডিকেট। সিন্ডিকেট সদস্যরা পরিচিত ছিল ‘ব্যবসায়িক পার্টনার’ হিসেবে। তবে, আধিপত্যের জেরে সিন্ডিকেট ভাগ হয় দু’ভাগে। মঙ্গলবার এই দ্বন্দ্বের জেরেই জসিমকে হত্যা করে তারা।

আটক দুজন হলেন, নেজাম উদ্দিন দিপু প্রকাশ বড় সোহাগ (২৫) এবং তার সহযোগী সিয়াম (২৫)। পুলিশ জানিয়েছে, এদের মধ্যে জসিম হত্যার ঘটনায় তার ভাইয়ের করা মামলার প্রধান আসামি দিপু এবং ৯ নম্বর আসামি সিয়াম।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৭ ডিসেম্বর রাত পৌনে ৯টার দিকে আনন্দবাজারের সিটি করপোরেশন ময়লার ডিপো সংলগ্ন টিজি কলোনি এলাকায় ছুরিকাঘাতে খুন হন মো. জসিম উদ্দিন। ওই ময়লার ভাগাড়ে ফেলা পঁচা-বাসি খাবার, নষ্ট ফলমূল ও বোতল কুড়িয়ে বিক্রি করতেন তিনি। পরে সেগুলো বিক্রি করতেন। এই ব্যবসা নিয়ে স্থানীয় আরেকটি পক্ষের সাথে তার দ্বন্দ্ব ছিল।

পুলিশ জানিয়েছে, পূর্বের দ্বন্দ্ব থেকেই আসামি নেজাম উদ্দিন দিপু তার কয়েকজন সহযোগীসহ টিজি কলোনির প্রবেশমুখে রাখাল দাশের ভবনের সামনে জসিম উদ্দিনের ওপর আক্রমন চালায়। একপর্যায়ে জসিমের গলায় ছুরিকাঘাত করে দিপু। পরে নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

জসিমকে হত্যার ঘটনায় আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুরে তার বড় ভাই আবদুর রহিম সুমন বাদী হয়ে গ্রেপ্তার নেজাম উদ্দিন দিপুকে প্রধান আসামি করে মোট ১৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও

সর্বশেষ