বাংলাধারা প্রতিবেদন »
গণপিটুনির নামে খুনের শিকার সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মহিউদ্দিন সোহেল হত্যা মামলার প্রধান আসামী চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সরাইপাড়া ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও পাহাড়তলী বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির আহ্বায়ক সাবের আহমদ সওদাগরকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৮ মে) চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আকবর হোসেন মৃধা তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
চট্টগ্রাম মহানগর পিপি মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী বলেন, সাবের আহমদ হাইকোর্ট থেকে চার সপ্তাহের অর্ন্তবর্তীকালীন জামিনে ছিলেন। জামিনের মেয়াদ শেষে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের আদেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। সাবের আত্মসমর্পণ করলে গত ২৯ এপ্রিল আদালত তাকে আরও একমাসের অর্ন্তবর্তীকালীন জামিন দিয়েছিলেন। আজ (মঙ্গলবার) তিনি স্থায়ী জামিনের আবেদন করেছিলেন। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
উল্লেখ্য, গত ৭ জানুয়ারি সকালে নগরীর ডবলমুরিং থানার পাহাড়তলী বাজারে ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা মহিউদ্দিন সোহেলের মৃত্যু হয়। ঘটনার পর পুলিশ ও বাজারের ব্যবসায়ীরা জানায়, চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে ব্যবসায়ী ও জনতা মিলে মহিউদ্দিন সোহেলকে গণপিটুনি দেওয়ায় তার মৃত্যু হয়েছে।
তবে পরদিন তার পরিবারের পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, মহিউদ্দিন সোহেল কোনো ছিঁচকে চাঁদাবাজ কিংবা সন্ত্রাসী ছিলেন না। জন্মস্থান পাহাড়তলীকে ‘সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত’ করার কাজে হাত দিয়ে তিনি কাউন্সিলর সাবের সওদাগর ও ওসমান খানের রোষানলে পড়েছিলেন।
হত্যাকাণ্ডের পর ৮ জানুয়ারি রাতে মহিউদ্দিন সোহেলের ছোট ভাই শাকিরুল ইসলাম শিশির বাদী হয়ে নগরীর ডবলমুরিং থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে আওয়ামী লীগপন্থী ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাবের আহমদ সওদাগর ও জাতীয় পার্টির নেতা ওসমান খানসহ ২৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এছাড়া আরও একশ থেকে ১৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি হিসেবে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
বাংলাধারা/এফএস/এমআর/টিএম