কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে একটি মাইক্রোবাসের পেছনে বাসের ধাক্কায় শিশুসহ চার যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও ৫ জন। শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে ৬টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রামের বাতিসা নানাকরা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- ফেনী সদরের মোটবী ইউনিয়নের দক্ষিণ লক্ষীপুর গ্রামের মো. মামুন (৫০), তার শ্বাশুড়ি মাজেদা বেগম (৭০), ছেলে মো. সাইমান (৫ মাস) ও মাইক্রোবাস চালক ফেনী সদরের মাষ্টার পাড়ার হাসান হাজারীর ছেলে আলাউদ্দিন হাজারী (২৭)।
মিয়াবাজার হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রইস উদ্দিন বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, মহাসড়কের নানকরা এলাকায় শুক্রবার সকাল ৬টার দিকে ঢাকামুখী একটি মাইক্রোবাস (ঢাকা মেট্টো-চ-১৩-৩৬৬২) সামনে একটা ট্রাক দাঁড়ানো থাকায় গতি কমিয়ে দেয়। এ সময় পেছন থেকে দ্রুত গতিতে আসা স্টার লাইন পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাস গতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে মাইক্রোবাসের পেছনে ধাক্কা দেয়। এতে মাইক্রোবাসটি দুমড়ে-মুচড়ে মহাসড়ক থেকে নিচে পড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই মাইক্রোবাস চালক ও শিশুসহ চারজন নিহত হন। নিহতরা সকলেই মাইক্রোবাসের যাত্রী। এ সময় মাইক্রোবাসে থাকা মামুনের স্ত্রীসহ আরও কয়কজন আহত হন। খবর পেয়ে মিয়াবাজার হাইওয়ে থানার পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা স্থানীয়দের সঙ্গে নিয়ে আহত ও নিহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। পুলিশ দুর্ঘটনা কবলিত গাড়ি দুটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
নিহত মো. মামুনের ভাই মো. হানিফ জানান, মামুন ঢাকার একটি হাসপাতালে চাকরি করেন। তিনি বন্যা কবলিত নিজ বাড়ির লোকজনদের দেখতে দুই দিন আগে ফেনীতে আসেন। তিনি আজ সকালে স্ত্রী, সন্তান ও শ্বাশুড়িকে নিয়ে মাইক্রোবাসযোগে ফেনী থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। কিছুক্ষণ পরে শুনি তাদের গাড়ি দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে।