ksrm-ads

১৬ মার্চ ২০২৫

ksrm-ads

মানিকছড়িতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মুখরোচক খাবার, প্রশাসনের অবহেলা

দুই হাতের সাহায্যে দুর্গন্ধযুক্ত স্থানে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরী করা হচ্ছে মচমচে নানা বয়সী মানুষের প্রিয় শীতকালীন নাস্তা গজা, খাজা, তিলের টপি, জিলাপি ও আমিত্তিসহ মুখরোচক সব বাহারি খাবার। কোনো প্রকার স্বাস্থ্য সুরক্ষা ছাড়াই কারখানার শ্রমিকরা খালি হাতে মেখে মেখে তৈরী করা খাবার ঢুবানো হয় কয়েক মাসের পুরোনো পোড়া তেলে। কারখানার এক পাশে গিয়ে দেখা যায় জমানো তেলে পড়ে আছে পোকা মাকড়। একই সাথে মচমচে চানাচুর তৈরীতে মেশানো হয় ক্ষতিকারক বিভিন্ন রাসায়নিক কেমিক্যাল।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার উত্তর মুসলিমপাড়া এলাকায় অসাধু ব্যবসায়ী পিপল চন্দ্র মজুমদারের নাস্তা তৈরীর কারখানায় গিয়ে দেখা যায় এমন অস্বাস্থ্যকর দৃশ্য। পুরো কারখানা ঘুরে পাওয়া যায়নি কোথাও কোনো সুরক্ষা সামগ্রী, এমনকি হাত ধোঁয়ার কোনো সাবানও দেখাতে পারেননি ওই কারখানায় কর্মরত কারিগররা।

খালি হাতের সংস্পর্শে তৈরী করা এসব নাস্তা কতদিন ভালো থাকবে, তার মেয়াদও ঠিক করে দেন কারখানার মালিক পিপল চন্দ্র মজুমদার। হাতে বানানো এসব নাস্তা তৈরীতে কেন ব্যবহার করা হয় পোড়া তেল? কেন মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি? কি রং- ই বা ব্যবহার করা হচ্ছে? নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, বিএসটিআই, জেলা-উপজেলা প্রশাসন কিংবা কোনো খাদ্য উৎপাদনের কোনো অনুমোদন, লাইসেন্স আছে কিনা? এমন প্রশ্নের কোনো প্রকার সদুত্তর দিতে পারেননি কারখানার মালিক পিপল চন্দ্র মজুমদার।

শুধুমাত্র ১নং মানিকছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের ট্রেড লাইসেন্স দিয়েই বছরের পর বছর এ ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন বলে জানান ওই খাদ্য প্রস্তুতকারী অনুমোদন বিহীন কারখানার মালিক পিপল চন্দ্র মজুমদার। এ কারখানায় উপজেলা প্রশাসনের অভিযান জরুরী প্রয়োজন বলছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।

আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও

সর্বশেষ