ফিরোজ মাহমুদ, মিরসরাই »
মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল এলাকায় বঙ্গোপসাগরের মোহনা থেকে সাবেক সেনাসদস্য নান্নু হোসেন মিয়ার লাশ উদ্ধার হওয়ার এক সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও ঘটনার সাথে জড়িত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
গত রোববার (১৬জুন) রাতে ওয়াহিদ কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের মিরসরাই ইকোনমিক জোনের ভূমি উন্নয়ন প্রকল্পের প্রজেক্ট ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ বাদি হয়ে জোরারগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় কারো নাম উল্লেখ করা না হলেও হামলার সাথে যুক্ত চায়না হার্বারের অজ্ঞাত ২০-২৫ চীনা নাগরিককে এতে আসামি করা হয়েছে।
জোরারগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবেদ আলী বলেন, মামলায় অজ্ঞাত ২০-২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিরা সবাই চীনের নাগরিক বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
কোম্পানির প্রজেক্ট ম্যানেজার আবুল কালাম সাংবাদিকদের জানান, গত ২৮ মার্চ বোট নিয়ে আমরা বামনসুন্দর খাল হয়ে সাগরে দিকে যাই। ফেরার সময় পেছন থেকে চায়না হারবারের একটি ট্রলার আমাদের ওপর হামলা করে। তারা আমাদের সাথে থাকা বোটটি রেখে দেয়। আমরা ইকোনমিক জোন পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ দিই। বিষয়টি সেখানে মীমাংসা হয়ে যায়।
তিনি বলেন, ১৪ জুন বিকেল ৫টায় আমাদের এক কর্মচারী বোট নিয়ে খালে গেলে চায়না হারবারের ভাসমান ড্রেজার দিয়ে তার ওপর আক্রমণ করে। সে বোটটি রেখে পালিয়ে আসে। বিষয়টি আমি আমাদের প্রজেক্ট ডাইরেক্টরকে জানাই। পরে বোটটি নিয়ে আসার জন্য নান্নুসহ সাতজনকে দায়িত্ব দিই।
তিনি অভিযোগ করেন, তারা রাত ১১টায় বোটটি আনতে গেলে চায়না হারবারের লোকজন তাদের ওপর হামলা করে এবং ছয়জন কোনো রকম প্রাণে বেঁচে চলে আসতে সক্ষম হয়। কিন্তু নান্নুকে ওরা ধরে ক্যাম্পে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে পুলিশকে জানালে তারা গাড়ি না থাকায় আসতে পারবে না বলে জানায়। তিন দিন নিখোঁজের পর ১৬ জুন একটি খালে নান্নুর ভাসমান লাশ পাওয়া যায়।
নিহত নান্নুর স্ত্রী সুলতানা মাফিয়া মনিরা বলেন, আমার স্বামীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ এখনো কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতার করে শাস্তির দাবি করছি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জোরারগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মোজাম্মেল হক জানান, ওয়াহিদ কনস্ট্রাকশনের পক্ষ থেকে জোরারগঞ্জ থানায় অজ্ঞাত ২০-২৫ জন চীনা নাগরিককে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। আসামি শনাক্ত করতে পারলে গ্রেফতার অভিযান শুরু হবে।
বাংলাধারা/এফএস/এমআর