চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ১৫ দিন পর পুনরায় পানি উঠেছে।এতে পানি বন্ধী হয়ে প্রায় ৬ শতাদিক পরিবার দুর্বিসহ জীবন- যাপন করছেন।অনেক এলাকার পাকা -আধাপাকা গ্রামীণ সড়ক ভেঙ্গে গেছে। এছাড়াও কমিউনিটি ক্লিনিক ডুবে যাওয়ায় স্বাস্থ্য সেবা নিতে পারছেন না স্থানীয়রা।
জানা গেছে, বুধবার রাত থেকে শুরু হয় ভারি বর্ষণ। এতে পাহাড়ি ঢলে উপজেলার করেরহাট, হিঙ্গুলী, জোরারগঞ্জ, মিরসরাই সদর, ওয়াহেদপুর, খৈয়াছড়া ইউনিয়নের বেশ কিছু গ্রাম, ফসলি জমি,মাছের ঘের প্লাবিত হয়েছে। অনেকে পানি বন্দি হয়ে পড়েছেন।
ফেনাপুনী গ্রামের বাসিন্দা আবু তাহের বলেন,গত কিছুদিন আগে এমপি এসেছিলেন। তিনি খালের জায়গা দখল মুক্ত করবেন বলেছিলেন।কিন্তু এখনও কনো প্রদক্ষেপ নেন নি। খালকে দখল মুক্ত করে আমদের পানি থেকে মুক্তি দেওয়া হোক।
গোভনিয়া এলাকার বাসিন্দা সালমান হোসেন বলেন,গত বন্যা থেকে এভার পানি আরো বেশি উঠেছে।আমাদের গ্রামের প্রায় ৩০০ পরিবার পানিবন্দি হয়ে আছে।এমপির কাছে আকুল আবেদন করছি দখলকারিদের উচ্ছেদ করে খালের জায়গা ফিরিয়ে আনা হোক।
মিরসরাই পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ইঞ্জিনিয়ার জাবেদ চৌধুরী বলেন, ভারি বর্ষণে আমার পুকুর ডুবে বসত ঘরে পানি ঢুকে গেছে। বাড়ির আঙ্গিনায় পানি থৈ থৈ করছে। এতে বিপাকে পড়েছি।
জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের সোনাপাহাড় এলাকার বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন বলেন, পাহাড়ি ঢলে আমার সবজি ক্ষেত ডুবে গেছে। পানি নামলে ক্ষেতের সব সবজি নষ্ট হয়ে যাবে। তিনি অভিযোগ করেন অপরিকল্পিত ভাবে কৃষি জমিতে শিল্পকারখানা স্থাপন করায় পানি নিষ্কাশনের জায়গা দখর হয়ে যাওয়ায় অল্প বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে।
খৈয়াছড়া ইউনিয়ন পরিষদেরন চেয়ারম্যান মাহফুজুল হক জুনু বলেন,আমরা গত কিছু দিন আগে আমাদের এমপি,উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহফুজা জেরিনকে নিয়ে খালের দখল হওয়া যায়গা পরিদর্শন করেছি। উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে কাছ চলমান রয়েছে।
জোরারগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম মাস্টার বলেন, আমার ইউনিয়নের সোনাপাহাড়সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের কৃষি ভারি বর্ষণে প্লাবিত হয়েছে। আমি খোজ খবর নিয়ে দেখছি।
সরেজমিনে গিয়ে মিরসরাই সদর ও জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের সোনাপাহাড় এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ভারি বর্ষণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে অনেক আমনের বীজতলা ডুবে গেছে। কিছু গ্রীষ্মকালীন সবজি নষ্ট হয়েছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা প্রতাপ চন্দ্র রায় বলেন, ভারি বর্ষণে আমনের বীজ তলা ডুবে গেছে। এছাড়া কিছু গ্রীষ্মকালীন সবজি নষ্ট হয়েছে। আমরা সঠিক পরিমাণ নিরুপনের চেষ্ঠা করছি।