ksrm-ads

১৬ জানুয়ারি ২০২৫

ksrm-ads

মিরসরাই উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গড়ার প্রস্তাব রুহেলের

মিরসরাই উন্নয়ন

বঙ্গবন্ধু শিল্পনগর শুধু মিরসরাইর নয়, সারা দেশের জন্য বড় সম্ভাবনা উল্লেখ করে যত্রতত্র স্থাপনা নির্মাণ, কৃষি জমি বেদখল থেকে রক্ষা, সামগ্রিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তদারকি ও শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য মিরসরাই উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গড়ার প্রস্তাব দিয়েছেন সংসদ সদস্য মাহবুব রহমান রুহেল।

মঙ্গলবার (২৮ মে) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বেজা আয়োজিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগরের আঞ্চলিক পরিবেশ ও সামাজিক প্রভাব মূল্যায়ন কর্মশালায় তিনি এ প্রস্তাব দেন।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ আয়োজিত কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্লনগরকে ঘিরে বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম এবং এর পরিবেশগত ও সামাজিক প্রভাব মূল্যায়নে অংশীজনদের মতামত নিয়ে এ কর্মশালা প্রাণবন্ত হয়ে উঠে।

আলোচনায় অংশ নেন প্রধান অতিথি চট্টগ্রাম-১ মীরসরাই আসনের সংসদ সদস্য মাহবুব রহমান রুহেল, বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান (সিনিয়র সচিব) শেখ ইউসুফ হারুন, বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল ইসলাম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরের প্রকল্প পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ফারুক, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার ইয়াছিন পারভীন তিবরিজি, পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ইকিউএমএসের প্রতিনিধি, চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার এসএম শফিউল্লাহ, সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান, মিরসরাইর ইউএনও মাহফুজা জেরিন, বেজার পরামর্শক আব্দুল কাদের প্রমুখ।

প্রধান অতিথি মাহবুব রহমান রুহেল বলেন, এখানে যারা মহিষ পালত, ভেড়া পালত তাদের জায়গা বেজা অধিগ্রহণ করেছে। তাদের ও তাদের পরিবারকে সুরক্ষিত করতে হবে। তাদের পরিবারকে প্রশিক্ষিত করতে হবে। মীরসরাইর মানুষের জন্য কোটা রাখতে হবে। ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন আগেও প্রধানমন্ত্রীকে এ দাবি জানিয়েছেন। দক্ষতা বাড়াতে, ইনভারয়মেন্ট এবং সোশ্যাল ইস্যুতে একসঙ্গে আমি বেজার সাথে কাজ করব।

উপকূলীয় বনাঞ্চল সংরক্ষণের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ভূগর্ভস্থ পানি শিল্প কারখানার জন্য নয়, এটা মীরসরাইয়ের জনগণের হক। শিল্পের জন্য এই পানি ব্যবহার করা যাবে না। খাল সংরক্ষণ ও সম্প্রসারণ করতে হবে।

ইকোনমিক জোনের ফলে ক্রমবর্ধমান জনগোষ্ঠীর জন্য সামাজিক অবকাঠামো, শ্রমিকদের জন্য আবাসন ব্যবস্থা, ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট এখন থেকে সাজানোর আহবান জানান তিনি।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগরী বাস্তবায়িত হলে আর্থ-সামাজিক ও অর্থনৈতিক ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হবে, তবে একই সাথে এই মহাপরিকল্পনা যেন পরিবেশগত কোন ঝুঁকি না নিয়ে আসে— সেদিকেও আমাদের নজর রয়েছে।

এসময় তিনি এই মহাপরিকল্পনা সম্ভাবনার নতুন দ্বার উন্মুক্ত করেছে উল্লেখ করে শিল্পনগরীকে সবুজ এবং টেকসই হিসেবে গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।

কর্মশালায় বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) এর নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন বলেন, দীর্ঘ মেয়াদে ইইউসহ উন্নত বিশ্বের বাজার ধরতে চাইলে সবুজ এবং টেকসই শিল্পায়নের বিকল্প নেই, তাই আমরা সেভাবেই এই শিল্পনগরী গড়ে তোলার দিকে মনোযোগ দিচ্ছি।

এসময় তিনি পরিকল্পনা অনুযায়ী সংরক্ষিত বনাঞ্চলে কোন গাছ কাটা হবে না এবং ভূগর্ভস্থ পানি রক্ষায় কাজ করা হবে বলে নিশ্চিত করেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগরী শিল্পের বিস্তার ঘটাবে, কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে এবং অপরিকল্পিত শিল্পায়ন কমাবে; এই মহাপরিকল্পনা বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ভিন্ন ইতিবাচক দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও

সর্বশেষ