মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে বাল্কহেডের ধাক্কায় একটি ট্রলার ডুবে নিহত হয়েছে নারী ও শিশুসহ ৮ জন যাত্রী। এখনো পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন আরও ৫ জন। নিখোঁজ যাত্রীদের উদ্ধার করতে সকাল থেকে ঘটনাস্থলে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। এছাড়াও চেইন লাগিয়ে ট্রলারটি টেনে তোলার চেষ্টা করছেন ফায়ার সার্ভিস, নৌ পুলিশসহ ডুবুরিদল।
শনিবার (৫ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার তালতলা-গৌরগঞ্জ খালের রসকাটি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
মরদেহ উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের সবার নাম পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি বলে জানায় ফায়ার সার্ভিস।
মাওয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ পরিদর্শক মাহবুবুর রহমান বলেন, নিখোঁজের পর থেকেই পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস যৌথভাবে উদ্ধার কাজ করছে। শনিবার রাত থেকে শুরু করে রোববার ভোর ৪টা পর্যন্ত একটানা উদ্ধার কাজ চালানো হয়। মাঝখানে দুই ঘণ্টা কাজ বন্ধ ছিল। সকাল ৬টা থেকে আবারও কাজ শুরু করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, শনিবার দুপুরের পর সিরাজদিখান উপজেলার লতাব্দি ইউনিয়নের নারী-শিশুসহ ৪৬ জন ব্যক্তি ট্রলারে করে পদ্মা নদীতে পিকনিকে যান। পিকনিক শেষে ট্রলারটি উচ্চ শব্দে গান বাজাতে বাজাতে তালতলা-গৌরগঞ্জ খাল দিয়ে লতাব্দির দিকে যাচ্ছিল। এ সময় বিপরীত দিক থেকে একটি বাল্কহেড বালু আনতে পদ্মা নদীর দিকে যায়। রাত ৮টার দিকে ট্রলারটি লৌহজংয়ের রসকাঠি এলাকায় পৌঁছালে বাল্কহেডটি ট্রলারের ওপরে উঠে যায়। বাল্কহেডের ধাক্কায় সঙ্গে সঙ্গে ট্রলারটি পানিতে তলিয়ে যায়। এ সময় ট্রলারের অধিকাংশ যাত্রী সাঁতরে উঠলেও ১৩ জন পানিতে তলিয়ে যান। তাদের মধ্যে ৮ জনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। বাকিরা নিখোঁজ।