দ্বিজা
আজ যদি চলে যাও, দলে যাও প্রাণ
ক্ষতি তাতে কিবা হবে- জেনো সেই দান,
এই দেহ যুগ আগে নীল হলো পরে
তোমা সুখ দেয়া তরে বিষপান করে।
সুখী মনে দৃঢ় পণে জেগে থেকে রাত
তোমার সাথে হেটে যেতো কতো শত প্রাত,
কবে তুমি ভয় পেয়ে বুকে গুঁজে মাথা
জড়ো হয়ে সাদা মুখে হয়েছিলে লতা।
আজ সেই রাত ঘিরে জল এসে জমে
চাঁদ থাকে মেঘে ঢাকা ক্ষণ যায় থেমে
আর সেই প্রাণ পরে তীর বিঁধে ধরে
চোখে ভাসা সেই সুখ দূরে যায় সরে।
ভালো থেকো প্রতি ক্ষণ দেহ মনজুড়ে
প্রাণ পরে প্রাণ আসে দেখে রেখো তারে,
তার তরে রেখে যায় জয়ে লিখা ভোর
শুভ ক্ষণে দিও তারে সেই বার্তা মোর।
সরল সত্য
আমার মুখোশ ভালো লাগে না
যে রকম ভালো লাগে-
আহমদ ছফার মতো বিশুদ্ধ স্বর।
আমার প্রতারক ভালো লাগে না
যে রকম ভালো লাগে-
রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহর মতো শুদ্ধতম কবি।
আমার সুন্দর অভিনেত্রীর ঢঙ ভালো লাগে না
যে রকম ভালো লাগে-
বারবনিতার কঠিন সত্য সংগ্রামী ভুল।
পরিপাটি মার্জিত ভদ্রচোরের শৈল্পিক উচ্চারণ অধিক-
ঘামঝরা শ্রমিকের মুখের ভাষা
আমার বেশ ভালো লাগে।
আর্মস্ট্রং এর মহাকাশ গমনের চেয়ে-
আমার প্রাণে কাঁপন তুলেছে,
সমতার স্বপন চোখে চে গিউভেরা’র বলিভিয়া ভ্রমণ।
ক্লিনটনের রূপকথার চেয়েও
আমার খুব ভালো লেগেছে
ফিদেল কাস্ট্রো’র পাড়ি দেয়া ইস্পাত কঠিন পথ।
আমার কখনো হিটলারের ‘মাইন কাম্প’ ভালো লাগেনি
যে বর্বর জাতীয়তাবাদকে আলিঙ্গন করেছিলো;
এর চেয়ে আমায় আলো জুগিয়েছে বেশ
নেলসন ম্যান্ডেলার অন্ধকার প্রকোষ্ঠ, লোহার গারদ।
জীবনব্যপী রাজমুকুট ধারণের চেয়ে
প্রিন্সেস ডায়ানার স্বতন্ত্র স্বাধীনতাবোধ-
আমাকে মুগ্ধ করেছে,
যুদ্ধবাজ সফল শাসকের বর্ণাঢ্য জীবন অধিক
শান্তির বার্তাবাহক জন এফ কেনেডি’র মৃত্যু-
আমাকে মোহিত করেছে।
কিং সালমানের আয়েশি জীবনের চেয়ে
আমি ইয়েমেনীদের মৃত্যুকে ভালোবেসেছি,
আমি ধ্বংসযজ্ঞকে পেছনে ফেলে আসা-
শির উঁচু করা মানুষগুলোকে ভালোবেসেছি।