ksrm-ads

১৮ জানুয়ারি ২০২৫

ksrm-ads

ম্যাচের পরে আফগানিস্তান-পাকিস্তান সমর্থকদের ফের মারামারি

বাংলাধারা ডেস্ক »

সেমিফাইনাল দৌড়ে টিকে থাকতে জিততেই হবে এমন ম্যাচে আফগানিস্তানকে ৩ উইকেটে হারিয়েছে পাকিস্তান। কিন্তু ম্যাচের ফলাফলের চেয়ে বেশি আলোচিত হয়েছে দুই দলের সমর্থকদের মারমুখী আচরণ। ম্যাচের মাঝেও দুই দলের সমর্থকদের মারামারি নিয়ে বয়ে গেছে সমালোচনার ঝড়। ম্যাচ শেষে দেখা গেল তার চেয়েও খারাপ চিত্র।

ম্যাচ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়ান পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের এক দল সমর্থক। কয়েকজন পাকিস্তানি সমর্থক নিরাপত্তা বেষ্টনীকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মাঠে নেমে পড়েন। এই ভিড়ের মাঝে আফগানিস্তানের অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবীকে ট্যাকল করে বসেন এক নিরাপত্তারক্ষী। পরে অবশ্য নিরাপত্তারক্ষী নবীকে চিনতে পেরে তার কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন। এর মধ্যে দর্শকদের ধাক্কায় আহত হয়েছেন আফগান খেলোয়াড় হামিদ হাসান।

এর আগে হেডিংলিতে ম্যাচ শুরু পরও স্টেডিয়ামের ভেতরে-বাইরে মারামারিতে জড়িয়েছেন দু’দলের সমর্থকরা। পরিস্থিতি সামলাতে এক পর্যায়ে দুই সমর্থককে দর্শক সারি থেকেই বের করে দিতে হয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীকে।

ম্যাচ শুরুর আগে স্টেডিয়ামের বাইরে মারামারি হওয়ার পর গ্যালারিতেও হাতাহাতিতে জড়ান প্রতিবেশী দেশ দু’টির সমর্থকরা। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমে এজন্য আফগান সমর্থকদের দোষারোপ করা হচ্ছে। 

ক্রীড়া সংবাদমাধ্যম ক্রিকইনফোর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ম্যাচ শুরুর আগেই স্টেডিয়ামে আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের সমর্থকরা তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে মারামারি হয়। 

সেখানে পরিস্থিতি নিরাপত্তা বাহিনী সামাল দিলেও খেলা শুরুর এক ঘণ্টার মধ্যে স্টেডিয়ামের কার্নেগি প্যাভিলিয়ন স্ট্যান্ডে দু’পক্ষ আবার সংঘর্ষে জড়ায়। পরিস্থিতি সামলাতে নিরাপত্তা বাহিনীকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। এমনকি দু’জন সমর্থককে স্টেডিয়াম থেকে বের পর্যন্ত করে দেওয়া হয়। এ দু’জন কোন দলের সমর্থক, তা জানা যায়নি।

ক্রিকইনফো জানায়, স্টেডিয়াম থেকে বের করে দেওয়ার পরও ওই সমর্থকরা বাইরে মারামারি করেন। ঘটনার ভিডিও ও ছবি তুলতে গিয়ে আক্রমণের শিকার হন সাংবাদিকরাও। 

সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, ম্যাচ শুরু হওয়ার আগে বেশ ক’জন সমর্থককে টিকিট ছাড়াই স্টেডিয়ামের সীমানাপ্রাচীর টপকে অবৈধভাবে ভেতরে প্রবেশ করতে দেখা যায়। তখন থেকেই মারামারির সূত্রপাত হয় বলে মনে করা হচ্ছে। 

বাংলাধারা/এফএস/এমআর

আরও পড়ুন