বিশিষ্ঠ সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব ও সংগীত শিল্পী এবং রাষ্ট্রীয় সম্মাননা বেগম রোকেয়া পদকপ্রাপ্ত বিশিষ্ঠ শিক্ষাবিদ অধ্যাপক হাসিনা জাকারিয়া (বেলা) বলেন, রবীন্দ্র-নজরুল বাংলা সাহিত্যের প্রানপুরুষ, তাদেঁরকে বাদ দিয়ে বাংলা সাহিত্য ও শিল্প-সংস্কৃতি কল্পনা করা যায় না।
বুধবার (১১ জুন) চট্টগ্রাম বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন এন্ড টেকনোলজি (সিবিইউএফটি) ক্যাম্পাসে রবীন্দ্র-নজরুল জন্ম জয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, একদিকে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা ভাষাকে বিশ্ব দরবারে প্রতিষ্ঠিত করেছেন অন্যদিকে আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বাংলা সাহিত্য-সংস্কৃতিকে বহুমাত্রিক বৈশিষ্ট্য দান করেছেন।
সিবিইউএফটি কালচারাল ক্লাবের উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিবিইউএফটি’র ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড: ওবায়দুল করিম ও ট্রেজারার প্রফেসর প্রদীপ চক্রবর্ত্তী।
ফ্যাশন ডিজাইন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সাদিয়া আলমের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে সিবিইউএফটি’র বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন ।
সিবিইউএফটি’র ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড: ওবায়দুল করিম বলেন রবীন্দ্র-নজরুল ছিলেন অসাম্প্রদায়িক সমাজ প্রতিষ্ঠার পথ প্রদর্শক। তাঁেদর লেখনিতে ছিল মানব কল্যাণ, প্রকৃতি-প্রেম, সমাজ বিপ্লবসহ যুগ পরিবর্তনের চেতনা ও দর্শন।
সিবিইউএফটি’র ট্রেজারার প্রফেসর প্রদীপ চক্রবর্ত্তী বলেন, বিশ^কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও বিদ্রোহীকবি কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন মানবধর্মের কবি, মানবতার কবি। তাঁেদর সাহিত্য সৃষ্টির মূল প্রতিপাদ্য ছিল মানুষ হিসেবে মানুষকে সর্বোচ্চ মূল্যায়ন করা ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা।
আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে বিশ^কবি ও বিদ্রোহীকবির সৃষ্টিকর্ম নিয়ে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।