ksrm-ads

১৩ জানুয়ারি ২০২৫

ksrm-ads

রমজানের আগেই ভোজ্যতেল বাজারে কৃত্রিম সংকট: বাড়ছে ভোক্তাদের উদ্বেগ

রমজানের বাকি আড়াই মাস ইতোমধ্যেই ভোজ্যতেল নিয়ে শুরু হয়েছে কৃত্রিম সংকট তৈরির প্রচেষ্টা। বাজারে দেখা দিয়ছে ভোজ্যতেলের সংকট। মুসলিম উম্মাহর পবিত্র এই মাসে বেশি ব্যাবহৃত হয় এই ভোজ্যতেল, পাশাপাশি সমহারে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম।

সরেজমিনে দেখা যায়, খুচরা বিক্রেতারা প্রয়োজন অনুযায়ী তেল পাচ্ছেন না, আর ডিলাররা তেল সরবরাহে আরোপ করছেন বাড়তি শর্ত। পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে চাপে পড়েছেন ক্রেতা ও খুচরা বিক্রেতারা।

খাতুনগঞ্জ, রিয়াজউদ্দিন বাজার ও পাহাড়তলী বাজারের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বোতলজাত তেলের সংকট সৃষ্টির জন্য মূলত দায়ী কোম্পানির সরবরাহ কমিয়ে দেওয়া এবং শর্তযুক্ত বিক্রয় পদ্ধতি। ডিলাররা তেল কিনতে হলে আটা, সুজি, চিনি ও দুধের মতো অন্যান্য পণ্য কিনতে বাধ্য করছেন।

শর্তযুক্ত বিক্রয়ের প্রভাববাজারে পুষ্টি, ফ্রেশ ও তীর কোম্পানির তেল পাওয়া গেলেও ডিলারদের শর্ত মেনে তেল কিনতে হচ্ছে। এক কার্টন তেল কিনতে গেলে অন্য পণ্য কিনতে হচ্ছে, যা খুচরা ব্যবসায়ীদের জন্য ক্ষতিকর। এক ব্যবসায়ী অভিযোগ করেন, “গ্রাহকরা তেল চাইলেও বাড়তি পণ্য কিনতে রাজি হন না। এতে আমরা ক্ষতির মুখে পড়ছি।”

বোতলজাত তেলের সংকট ও দাম বৃদ্ধির আশঙ্কাখোলা তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় অনেকেই বোতলজাত তেল ড্রামে ঢেলে বিক্রি করছেন। এতে বোতলজাত তেলের সংকট তৈরি হয়েছে। এখন ১ লিটার বোতলজাত তেলের দাম ১৬৫ থেকে ১৭৩ টাকার মধ্যে হলেও সামনে এই দাম আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।

সিন্ডিকেটের পরিকল্পনাখাতুনগঞ্জের এক ব্যবসায়ী জানান, রমজানের আগে বাজার ধরতে সিন্ডিকেটগুলো কৃত্রিম সংকট তৈরি করছে। “এখনই সংকট দেখিয়ে রমজানে চড়া দামে তেল বিক্রির সুযোগ নেওয়া হবে,” বললেন তিনি।

সরকারি নজরদারির দাবিব্যবসায়ীদের দাবি, সরকারের উচিত বাজারে কঠোর নজরদারি চালানো। সিন্ডিকেট চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিলে সংকট কাটবে এবং ভোক্তাদের ভোগান্তি কমবে।

রমজান সামনে রেখে বাজারে এই ধরনের কৌশল সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় বাড়তি চাপ তৈরি করছে। দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে পরিস্থিতি আরও সংকটপূর্ণ হতে পারে।

আরও পড়ুন