চট্টগ্রামের রাউজানে আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর মুনিরীয়া যুব তাবলীগ কমিটির দুইটি এবাদতখানা ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ সংক্রান্ত তিন মামলার এজাহারনামীয় আসামি মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেনকে (৪২)কারাগারে প্রেরণ করেছে রাউজান থানা পুলিশ। ১৭ সেপ্টেম্বর সকালে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। এরপূর্বে গত ১৬ সেপ্টেম্বর (সোমবার) রাত সাড়ে ৮টার দিকে র্যাব-৭ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার গহিরা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে আটক করেন। একইদিন রাতে তাকে রাউজান থানায় হস্তান্তর করা হয়। আটককৃত মো. আনোয়ার হোসেন রাউজান উপজেলার পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নের কাগতিয়া গ্রামের গোলজার পাড়া এলাকার হবল হোসেন প্রকাশ তবল হোসেনের ছেলে এবং পশ্চিম গুজরা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি।
রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মাহবুবুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ১৭ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) সকালে আসামী মো. আনোয়ার হোসেনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করেছি।
এরপূর্ব গত ১৬ সেপ্টেম্বর (সোমবার) রাতে র্যাব-৭ তাকে রাউজান থানায় হস্তান্তর করেন। তার বিরুদ্ধে এই পর্যন্ত ৩টি মামলা হয়েছে বলে জানান তিনি।
রাউজান থানা সূত্রে জানা যায়, গত ২০১৯ সালের ১৯ এপ্রিল ও ৩০ এপ্রিল সাবেক সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এবং অপরাপর আসমিদের নির্দেশে ও সরাসরি ইন্ধনে আটককৃত মো আনোয়ার হোসেন সহ ৭০-৭৫ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মুনিরীয়া যুব তাবলীগ কমিটি বাংলাদেশের রাউজান থানাধীন ২০৪ নং ফকিরটিলা শাখা ও ১০৩ নং দলইনগর-নোয়াজিষপুর শাখার এবাদতখানায় ভাংচুর করে। এসময় প্রতিষ্ঠান দুটির লোকজন বাঁধা প্রদান করলে নাশকতাকারীরা তাদের গালিগালাজ ও মারধর করে হুমকি প্রদান করে।
এছাড়াও, প্রতিষ্ঠান দুটির কয়েকটি ভবন, আসবাবপত্র, দোকানপাট ভাংচুর করে আনুমানিক ২ কোটি টাকার ক্ষতি সাধন করে। উক্ত দুটি ঘটনায় গত ২৩ আগস্ট ও ২৬ আগস্ট যথাক্রমে মো. আলাউদ্দিন ও মো. জোহেল উদ্দিন বাদী হয়ে রাউজান থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন।এছাড়াও তিনি রাউজান থানায় প্রবেশ করে গুরুত্বপূর্ণ মালামাল ভাংচুর, অস্ত্র-গোলাবারুদ লুট, পুলিশকে হত্যার উদ্দেশ্যে আঘাত করা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার সন্ধিগ্ধ আসামি বলেও জানা যায়।