ksrm-ads

১৭ মে ২০২৫

ksrm-ads

রাউজানে হত্যাকাণ্ডের পেছনে দলীয় কোন্দল নয়: গোলাম আকবর খোন্দকার

চট্টগ্রামের রাউজানে একের পর এক হত্যাকাণ্ডের ঘটনা দলীয় কোন্দলের কারণে ঘটছে না বলে দাবি করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খোন্দকার। তিনি বলেছেন, বালুমহাল, ইটভাটা ও চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এসব সংঘর্ষ ও হত্যাকাণ্ড ঘটছে।

শনিবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে নগরের নাসিমন ভবনে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

গোলাম আকবর খোন্দকার বলেন, “আমি পরিষ্কারভাবে বলছি, রাউজানে সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ডগুলোর পেছনে বিএনপির কোনো দলীয় কোন্দল নেই। যারা সন্ত্রাস করছে, খুনোখুনি করছে তারা যত বড় নেতাই হোক, দল কোনোভাবেই তা সমর্থন করবে না। আমি দলের অবস্থান স্পষ্ট করতে এসেছি।”

তিনি জানান, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা হারানোর পর গত আট মাসে শুধু রাউজান উপজেলাতেই নয়টি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে, যার মধ্যে ছয়জন বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। তিনি নেতাকর্মীদের আইন নিজের হাতে তুলে না নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “দ্বন্দ্ব-সংঘাতে না জড়িয়ে যথাযথ আইনগত প্রক্রিয়ায় অভিযোগ উত্থাপন করতে হবে।”

রাউজানে চলমান সহিংসতার কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, “বালুমহাল ও মাটিকাটা নিয়ে দ্বন্দ্ব, গাছের ট্রাক থেকে চাঁদাবাজি ও ইটভাটায় চাঁদা নির্ধারণের মতো বিষয়গুলো এসব সহিংসতার পেছনে রয়েছে। প্রশাসনের উচিত এসব বিষয়ে তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া।”

চট্টগ্রামের রাউজানে ৩৮টি ইটভাটায় প্রতি ভাটায় দুই লাখ টাকা করে চাঁদা ধার্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। একইসঙ্গে অস্ত্র উদ্ধারে যৌথ বাহিনীকে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান।

সংবাদ সম্মেলনে গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরীর সঙ্গে বিরোধের প্রসঙ্গে জানতে চাইলে গোলাম আকবর খোন্দকার বলেন, “আমি এখানে কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে আসিনি বা কারও মুখোশ খুলতেও আসিনি। আমি কেবল দলের অবস্থান পরিষ্কার করতে এসেছি।”

তিনি বলেন, “দীর্ঘ ১৭ বছর আন্দোলন সংগ্রামে অংশ নিয়েছি। আমাদের নামে অসংখ্য মামলা রয়েছে। কারাগারেও ছিলাম। কিন্তু কোনো অপরাধের সঙ্গে যুক্ত হইনি। আজ যারা অপরাধ করে বিএনপির ছায়ায় থাকতে চায়, তাদের চিহ্নিত করে যথাযথ শাস্তির আওতায় আনা উচিত।”

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ হানিফ, মোহাম্মদ ইউনুস চৌধুরী, কাজী সালাউদ্দিন, মো. নুরুল আমিন, মোহাম্মদ নুর মোহাম্মদ, বেলায়েত হোসেন এবং রাউজান উপজেলা বিএনপির সভাপতি জসিম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন।

এআরই/বাংলাধারা

আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও

সর্বশেষ