কক্সবাজার প্রতিনিধি »
তীর ভরাট করে অবৈধভাবে দখল করে আসায় ক্রমে সংকীর্ণ হয়ে আসছে এক সময়ের প্রমত্তা কক্সবাজারের বাঁকখালী নদী। দীর্ঘদিন ধরে এমনটি হয়ে আসলেও কেউ রুখে না দাঁড়ায় দখল যজ্ঞ তীর ছাড়িয়ে মূল নদীতেও গিয়ে ঠেকেছে। এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়ে এবার বাঁকখালী রক্ষায় মাঠে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক)।
এরই ধাপ হিসেবে বুধবার বিকেলে দুদক চট্টগ্রাম বিভাগের সহকারী পরিচালক রতন কুমার দাশের নেতৃত্বে সরেজমিনে পরিদর্শনে এসেছে একটি টীম। এরা অবৈধ দখলের প্রমাণও পেয়েছে বলে জানিয়েছেন।
বুধবার (২৯ মে) বাঁকখালী নদীর কস্তুরাঘাট থেকে বাজারঘাটা পয়েন্ট পর্যন্ত পরিদর্শন শেষে দুদক সহকারী পরিচালক রতন কুমার দাশ জানান, সরাসরি অভিযোগের পাশাপাশি শুরু থেকে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের সূত্র ধরে কাজ করছে দুদক। কক্সবাজারের ঐতিহ্যবাহী নদীর মধ্যে বাঁকখালী একটি। এ নদীর তীরে যেভাবে স্থাপনা করা হয়েছে তা চলতে থাকলে, তাহলে আগামীতে বাঁকখালী বিলিন হয়ে যাবে।
তিনি আরো বলেন, কক্সবাজার জেলা প্রশাসন বলছে ৯০ জন দখলদারের তালিকা করা হয়েছে। সরেজমিনে এসে ওই তালিকার বাইরে অনেক রাঘব বোয়ালকে দখল যজ্ঞে সম্পৃক্ত বলে জানা গেছে। তাই ওই তালিকা সংশোধন করতে বলা হয়েছে। পরিদর্শন শেষে দখলের বর্তমান চিত্র কমিশনে তুলে ধরব। এরপর কমিশন যে সিদ্ধান্ত দেবে তা বাস্তবায়ন করতে একটুও পিছপা হবো না।
পরিদর্শন কালে তার সাথে ছিলেন, দুদকের চট্টগ্রাম বিভাগের কর্মকর্তা জাফর সাদেক শিবলীসহ পরিদর্শন দলের অন্যান্য সদস্যরা। দুদক দলকে দেখে নদী প্রেমীরা তীরে এসে তাদের নানা তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেন। দুদক কাজ শুরু করলে সাধারণ জনতাকে নিয়ে নদী রক্ষায় সহযোগিতা করা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ নদী পরিভ্রাজক দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ন সম্পাদক ও দক্ষিণ চট্টগ্রামের সমন্বয়ক ইসলাম মাহমুদ।
বাংলাধারা/এফএস/এমআর