রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলাধীন বড়থলী ইউনিয়নে আঞ্চলিক দলীয় সন্ত্রাসীদের গুলিতে গুরুতর আহত ইউপি চেয়ারম্যান আতোমং মারমা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণের ঘটনায় মামলা করেছে নিহতের ভাই।
বিলাইছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আকতার হোসেন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, শুক্রবার (৩১ মে) সন্ধ্যায় নিহত চেয়ারম্যানের বড় ভাই ক্যাচিমং মারমা (৬১) বিলাইছড়ি থানায় বাদী হয়ে ৩০২/৩৪ ধারায় এক খুনের মামলা করেন। যার মামলা নং -০১। তবে তদন্তের স্বার্থে এজাহারে উল্লেখিত বিবাদীদের নাম ও সংখ্যা জানানো যাচ্ছেনা। তিনি আরও জানান, চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানার অধীনে ময়না তদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
গত ২১ মে উপজেলা নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শেষে রাতে বিলাইছড়ি উপজেলার দূর্গম বড়থলী ইউপি চেয়ারম্যান আতোমং মারমাকে গুলি করে আঞ্চলিকদলীয় সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা।
প্রসঙ্গত, (২১ মে) ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন ২য় পর্য়ায় বিলাইছড়ি উপজেলাধীন বড়থলী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান আতোমং মারমাকে বড়থলী মারমা পাড়ায় নিজ আত্বীয়ের বাসায় অবস্থানকালে রাত আনুমানিক ১১:১৫ টার সময় হঠাৎ গুলি করে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে রুমা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। এর পর তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বান্দরবান জেলা সদর হাসপাতাল এবং পরে চট্রগ্রাম মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তিনি প্রায় ৯ দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকাকালে বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক সাড়ে ১১ টায় আইসিইউতে মারা যান।
এর আগে ২০১৯ সালের ১৮ মার্চ পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন এর পরের দিন ১৯ মার্চ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সুরেশ কান্তি তঞ্চঙ্গ্যাকেও গুলি করে হত্যা করে পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা। এই নিয়ে উপজেলায় নির্বাচনকালীন সময়ে পরপর ২ বার দু’নেতাকে নির্মমভাবে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা।