বাংলাধারা ডেস্ক »
চট্টগ্রাম রাঙ্গুনিয়া ১৩নং ইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের বাকী আরো ৬ মাস৷ আগামী ইউপি নির্বাচন ঘিরে দলীয় মনোনয়নের আশায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের একাদিক নেতা দলীয় সমর্থন পেতে চালিয়ে যাচ্ছে নিজেদের যোগ্যতা প্রমানের চেষ্টা।
মনোনয়ন প্রত্যাশি একাদিক নেতার মধ্যেএকজন রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রান ও সমাজ কল্যান সম্পাদক মোহাম্মদ কামাল চৌধুরী ৷ মোহাম্মদ কামাল চৌধুরী রাজনৈতিক ও বিভিন্ন সামাজিক সমাবায় সমিতির মূল স্তরের দায়িত্বে নিজের সততা ও যোগ্যতার পরিক্ষায় অনেকবার নিজেকে যোগ্য প্রমান করতে সক্ষম হয়েছেন।
বর্তমানে তিনি দলীয় পদবী ছাড়াও রাঙ্গুনিয়া কাঠ ব্যবসায়ী সমিতির পরপর ২বার সভাপতি, রাঙ্গুনিয়া সমিতির সভাপতি ও রাঙ্গুনিয়া ব্রিক ফিল্ড সমিতির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে আছেন এসব ছাড়াও সংস্কৃতি ক্রিড়াসহ নানা রকম সামাজিক কর্মকান্ডে কামাল চৌধুরীর অবদান স্থানীয়ভাবে প্রসংশিত৷
আসন্ন ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশি কিনা জানার জন্য কামাল চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান দল থেকে মনোনয়ন পাব কিনা সে ব্যপারে আমি নিশ্চিত নয় তবে আমি আমার নেতা রাঙ্গুনিয়ার অভিভাবক তথ্যমন্ত্রী ড.হাছান মাহমুদ এমপি মহোদয়ের মাধ্যমে দলীয় নির্দেশনা অনুযায়ী মনোনয়নের জন্য আবেদন করব, দল যদি আমাকে আমাকে মনোনয়ন দেয় আমার ইসলামপুরের সকল দলীয় নেতা কর্মীদের সাথে নিয়ে আগামী নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী হিসাবে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার হাতকে আরো শক্তিশালী করে উন্নয়নের দ্বারা অব্যাহত রাখব৷
করোনাকালীন সময়ে প্রধানমন্ত্রী ও স্থানীয় সংসদ ড. হাছান মাহমুদের নির্দেশনা বাস্তবায়নে কামাল চৌধুরীর ভূমিকা কেমন ছিল জানতে চাইলে কামাল চৌধুরী বলেন, আমি উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রান ও সমাজ কল্যান সম্পাদক হিসাবে করোনা মহামারির সময় গরীব মেহনতি কেটে খাওয়া মানুষের ঘরে ঘরে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পৌছে দিতে কিংবা সবাই পাচ্ছে কিনা নিশ্চিত হতে শুরু থেকে মাঠে ছিলাম। তার ধারাবাহিকতায় আমার নেতা আমাকে আহবায়ক করে একটি ত্রান বিতরণ কমিটি গঠন করেন। এই কমিটির মাধ্যমে আমরা সকলের কাছে শতভাগ ত্রান বিতারণ করতে সক্ষম হয়েছি৷ কাকে অবদান বলে আমি জানিনা তবে আমি জানি আওয়ামী লীগ আমার রক্তের সূত্রে পাওয়া। বুদ্ধি বয়স থেকে রাজনীতি বলতে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুঝে আসছি আজও তারই ধারাবহিকতায় দলের সাথে সম্পৃক্ত আছি, দল থেকে কিছু চাইনি বরং দিয়েছি প্রতিনিয়ত। বিএনপি জামাতের সন্ত্রাসীদের সাথে যুদ্ধ করে ঠিকে আছি৷
২০০১ সালের পর আমার পরিবার ও আমার উপর যা কিছু হয়েছে তা ৭১ এর বর্বরাতাকে হার মানাবে, আমি আমার পরিবার দলের জন্য শুধু শ্রম দেইনি জীবনও দিয়েছে৷ বিএনপি জোট সরকারের আমলে আমার চাচাতো ভাই যুবলীগ নেতা কামরুল ইসলাম চৌধুরীকে যুদ্ধাপরাধে দন্ডিত সাকা চৌধুরীর সন্ত্রাসী বাহিনী অপহরণ করে নির্মমতাকে হার মানিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করেছিল। ২০১২ সালে শোকের মাস আগষ্টে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করেছিল সাকা চৌধুরীর লালিত সন্ত্রাসীরা। আমাকে বাঁচনোর জন্য আমার আপন ছোট ভাই চট্টগ্রম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের ত্রান ও দূর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক রাশেদ মিয়া চৌধুরীকে কতটা নির্মমভাবে হত্যা করেছিল পুরো রাঙ্গুনিয়া জানে। দীর্ঘ একমাস মৃত্যুর সাথে যুদ্ধ করে জানতে পারি আমাকে হামলার দিন আমার আদরের ছোট ভাইকে ওরা মেরে ফেলছে। আর কত হারালে অবদান হিসাবে বিবেচিত হবে৷
আজ অব্দি দলের পদের আশায় রাজনীতি করিনি সামনেও করবো না। দলের কাছে আবেদন করব। যদি দল ও আমার নেতা আমার অভিভাবক ড.হাছান মাহমুদ এমপি মহোদয় আমাকে যোগ্য মনে করে তাহলে দলীয় ব্যানারে নির্বাচন করার সুযোগ দিবে। অন্যতায় দলের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়ে দল যাকে মনোনয়ন দিবে তার পক্ষে দলের জন্য কাজ করব। আমাদের সরকারের উন্নয়নকে অব্যহত রাখতে আমরা স্থানীয় আওয়ামী লীগ আমাদের নেতা হাছান মাহমুদের নেতৃত্বে সবসময় ঐক্য এতে কোন সন্দেহ নেই। দলীয় পক্ষে মনোনয়ন সকল নেতাকর্মী চাওয়ার অধিকার আছে, দল যাকে মূল্যায়ন করবে কিংবা যোগ্য মনে করবে তাকেই দিবে৷
বাংলাধারা/এফএস/এইচএফ