ফটিকছড়ি প্রতিনিধি »
ফটিকছড়ির আলোচিত রাশেদ কামাল হত্যাকাণ্ডে অস্ত্র সরবরাহের দায়ে এবার গ্রেপ্তার হলেন নাজিরহাট পৌরসভা যুবলীগের আহ্বায়ক মুহাম্মদ হোসেন। জানা গেছে, ইতোপূর্বে গ্রেপ্তারকৃত এ হত্যাকাণ্ডের অন্যতম আসামী মাসুদ উল্লাহ মিরু আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দিতে জানায়, রাশেদ কামালকে মারার জন্য যুবলীগ নেতা মুহাম্মদ হোসেন অস্ত্র সরবরাহ করেছিল।
অবশেষে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)- এর একটি টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার (৯ মার্চ) ভোরে নাজিরহাট পৌর এলাকা থেকে হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাকে আদালতে হাজির করা হলে তিনি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দেন। এ সময় রাশেদ কামাল হত্যাকাণ্ডে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি দেশীয় এলজি ও চার রাউন্ড কার্তুজ সরবরাহ করেছিলেন বলে আদালতে স্বীকার করেছেন হোসেন।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ১১ জুন রাতে ফটিকছড়ি উপজেলার নানুপুর বাজারে মাজার গেইটের সামনে মুখোশধারী দুষ্কৃতিকারীরা অতর্কিত গুলি চালিয়ে ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ কামালকে হত্যা করে। এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে বলে তখন পুলিশ জানায়। এ ঘটনায় রাশেদ কামালের মা জাহানারা বেগম বাদী হয়ে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য সৈয়দ বাকেরকে প্রধান আসামী করে এজাহারনামীয় ছয়জনসহ অজ্ঞাত নামা ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে ফটিকছড়ি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলাটি শুরুতে ফটিকছড়ি থানায় থাকলেও পরবর্তীতে তদন্তের দায়িত্ব পায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ইতোমধ্যে রাশেদ কামাল হত্যাকাণ্ডে জড়িত বেশ কয়েকজনকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এই মামলায় প্রধান আসামী সৈয়দ বাকেরও জেল হাজতে রয়েছেন।
বাংলাধারা/এফএস/এআর