কক্সবাজার সফররত রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সাথে কক্সবাজার জেলা বিচার বিভাগের কর্মকর্তাগণ সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। মঙ্গলবার (৩১ জুলাই) সকালে কক্সবাজার সমুদ্র পাড়ের জলতরঙ্গ রিসোর্টে কক্সবাজারের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের নেতৃত্বে রাষ্ট্রপতির সাথে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সৌজন্য সাক্ষাত হয়।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে কক্সবাজারের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক (জেলা জজ) মো. মোসলেহ উদ্দিন, ২ এর বিচারক মো. নুরে আলম ও ৩ এর বিচারক মো. আবু হান্নান, কক্সবাজারের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল মামুন, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-২ মো. সাইফুল ইলাহী, দায়রা জজ-৩ মোহাম্মদ আবদুল কাদের ও দায়রা জজ-৪ মো. মোশারফ হোসেন, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মোছা. রেশমা খাতুন, অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কৌশিক আহমদ খন্দকার, সিনিয়র সহকারী জজ সুশান্ত প্রাসাদ চাকমা, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শ্রীজ্ঞান তঞ্চঙ্গা, সিনিয়র সহকারী জজ মৈত্রী ভট্টাচার্য, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হামীমুন তানজীন, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আসাদ উদ্দিন মো. আসিফ, সিনিয়র সহকারী জজ মো. ওমর ফারুক, কক্সবাজার জেলা বিচার বিভাগীয় কর্মচারী এসোসিয়েশনের সভাপতি বেদারুল আলসেহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সাক্ষাতকালে কক্সবাজার বিচার বিভাগের বিজ্ঞ বিচারকগণ রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে ফুল ও সম্মাননা স্মারক দিয়ে শুভেচ্ছা জানান এবং অত্যন্ত সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশে পরস্পর কুশল বিনিময় করেন। এসময় কক্সবাজার বিচার বিভাগের মামলা নিষ্পত্তির হারসহ সার্বিক বিষয়াদি জেনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সন্তোষ প্রকাশ করেন বলে জানিয়েছেন জেলা বিচার বিভাগীয় কর্মচারী এসোসিয়েশন সভাপতি।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন কক্সবাজারে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ভবন নির্মাণের বিষয়ে খোঁজ খবর নেন। এসময় কক্সবাজারের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল মামুন সিজেএম ভবন নির্মাণের জন্য জমি বরাদ্দ করাসহ প্রাথমিক অগ্রগতির বিষয়ে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে অবহিত করেন বলেও উল্লেখ করে তিনি।
সাক্ষাতকালে রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস.এম সালাহউদ্দিন ইসলামসহ উর্ধতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারাগণ উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। রাষ্ট্রপতি গত ৩০ জুলাই ২ দিনের সফরে স্বপরিবারে কক্সবাজার আসেন। ৩১ জুলাই সকালে রাষ্ট্রপতি স্বপরিবারে মেরিন ড্রাইভ সড়ক দিয়ে সুদীর্ঘ সৈকতের সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে যান। রাষ্ট্রপতির আসা-যাওয়া এবং মেরনি ড্রাইভে অবস্থানকালীন নিরাপত্তার কথা বলে পর্যটন শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কে কয়েক ঘন্টা স্বাভাবিক যান ও জনচলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। ফলে চরম দূর্ভোগে পড়েন পর্যটক ও স্থানীয় লোকজন। ৩০ জুলাই বিমানবন্দর ও সার্কিট হাউস থেকে জলতরঙ্গে রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে যেতে আধাঘন্টার পথে দুই ঘন্টার অধিক কলাতলী সড়ক, লাবণী পয়েন্টসহ একাধিক সড়কে অকস্মাৎ যান ও জন চলাচল বন্ধ করে রাখায় শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, রোগীসহ নানা পেশার মানুষ সড়কে আটকা পড়ে। এসময় ভোগান্তিতে পড়া লোকজন বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। নানা বিশ্রী স্লোগান দেয়। সোমবার (৩১ জুলাই) বিকেলে রাষ্ট্রপতির কক্সবাজার ত্যাগ করার কথা রয়েছে।