ksrm-ads

৫ ডিসেম্বর ২০২৪

ksrm-ads

রাস্তার মাঝখানে বিদ্যুতের ঝুঁকিপূর্ণ খুঁটি,আতঙ্কে এলাকাবাসি

বাংলাধারা ডেস্ক »

কিশোরগঞ্জ জেলার হাওর উপজেলা নিকলীর সড়কের মাঝখানে ১১ কেভি দুটি বিতরণ লাইনের ছয়টি ঝুঁকিপূর্ণ খুঁটি এখন এলাকাবাসীর গলার কাঁটা হিসেবে দেখা দিয়েছে। নিকলী-করিমগঞ্জ রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সড়কের কারপাশা এলাকা থেকে শহরমুল নানশ্রী পর্যন্ত সড়কের মাঝখানে পাঁচটি খুঁটি রয়েছে।

এ ছাড়া উপজেলার দামপাড়া-সিংপুর সড়কের পূর্ব দামপাড়া গ্রামে বসতঘরে পল্লী বিদ্যুতের ১১ কেভি বিতরণ লাইনের একটি খুঁটিসহ ছয়টি ঝুঁকিপূর্ণ খুঁটি রয়েছে। সড়কের মাঝখানে ঝুঁকিপূর্ণ খুঁটির ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে এখন আলোচনা-সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। আর এতে করে নিকলী-করিমগঞ্জ সড়কপথে দুর্ঘটনা এবং দামপাড়ার বসতঘরে বড় ধরনের বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনার আশঙ্কা নিয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে। তারা অবিলম্বে সড়ক এবং বসতঘর থেকে এসব ঝুঁকিপূর্ণ বৈদ্যুতিক খুঁটি সরানোর দাবি জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মো. মনিরুজ্জামান মজুমদারের সঙ্গে কথা হলে তিনি এ সমস্যার কথা স্বীকার করেন। তিনি জানান, দুর্ঘটনার কথা বিবেচনা করে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সড়কপথের মাঝখানে থাকা এসব ঝুঁকিপূর্ণ খুঁটি সরানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। মো. মনিরুজ্জামান মজুমদারের দাবি, ঠিকাদার নিয়োগের মাধ্যমে ইতিমধ্যে বিপরীত দিকে নতুন খুঁটি স্থাপন করে সড়কপথের এসব খুঁটি ও লাইন সরিয়ে নেয়া হচ্ছে।

তবে দামপাড়া- সিংপুর সড়কের পূর্ব দামপাড়ার বসতঘরের বিদ্যুৎ খুঁটি নিয়ে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ওই ঘরের মালিক কেন জানি আমাদের সঙ্গে কোনো প্রকার যোগাযোগ কিংবা পরামর্শ না করে খুঁটি ভেতরে রেখে রাতারাতি বসতঘর বানিয়ে ফেলেছেন। তবে ঝুঁকির কথা বিবেচনা করে এ খুঁটি ও লাইন সরিয়ে নেয়া হবে শিগগিরই।

নিকলী উপজেলা সদরের ব্যবসায়ী কামরুল ইসলাম এবং করিমগঞ্জ থেকে বেড়াতে আসা জহিরুল ইসলাম জানান, সড়কের মাঝখানে এসব বিদ্যুৎ খুঁটির জন্য বড় যানবাহন চলাচল মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। দামপাড়া গ্রামের হাবিবুর রহমান বলেন, বসতঘরের মধ্যে বিদ্যুৎ খুঁটি এখন গোটা এলাকাবাসীর গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেকোনো সময় শর্টসার্কিট কিংবা অন্য কোনো উপায়ে দুর্ঘটনা ঘটলে পুরো গ্রামের জানমালের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা নিয়ে সময় কাটছে এ এলাকার মানুষের।

বাংলাধারা/এফএস/এমআর/এসবি

আরও পড়ুন