বাংলাধারা ডেস্ক »
বরগুনায় প্রকাশ্য দিবালোকে স্ত্রী আয়শা ছিদ্দিকা মিন্নির সামনে তার স্বামী রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যা করে সাব্বির হোসেন নয়ন ওরফে নয়ন বন্ড ও তার সহযোগীরা। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশ জুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে।
ভিডিওতে দেখা যায় নয়ন বন্ড, রিফাত ফরাজি ও তার সহযোগীরা যখন রিফাত শরীফকে একের পর এক রামদায়ের কোপ দিচ্ছিল মিন্নি তাকে বাঁচানোর চেষ্ট করছিল। তবে নয়ন ও রিফাত ফরাজি মিন্নির গায়ে কোন আঘাত করেনি। আক্রমনকারীদের একজনকে দেখা যায় রাস্তায় পড়ে যাওয়া মিন্নির ভ্যানিটি ব্যগটি সযত্নে উঠিয়ে নিজের হাতে রাখতে।
ভিডিওটি ফেসবুকে ভািইরাল হওয়ার সাথেসাথে মিন্নি ও নয়ন বন্ডের অতিত সম্পর্কের বিষয়ে বেশ কিছু তথ্য, ছবি এবং ফেসবুকে মিন্নির স্ট্যাটাস ও নয়ন বন্ডের সাথে কমেন্ট আদান-প্রদানের স্ক্রীনশটও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরে। এতে মিন্নি ও নয়নের সম্পর্কের বিষয়টি সামনে চলে আসে।
এবার পাওয়া গেল মিন্নি ও নয়ন বন্ডের বিয়ে হওয়ার প্রমান। তাদের বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরগুনা পৌরসভার ৪,৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের নিক্হ রেজিস্টার কাজী মো. অনিসুর রহমান। শহরের ডিকেপি রোডের কেজি স্কুল স্ট্যান্ডে তার অফিস।
গত বছরের ১৫ অক্টোবর বাদে আছর মিন্নি ও নয়ন বন্ডের বিয়ে রেজিট্রি করেন কাজী আনিসুর রহমান। বিয়েতে প্রথম সাক্ষী ছিল রিফাত হত্যা মামলার দ্বিতিয় আসামি বাকিবুল হাসান রিফাত ওরফে রিফাত ফরাজি। বিয়েতে দেনমোহর ধরা হয় পাঁচ লাখ টাকা তবে নগদ কোন পরিশোধ ছিলনা।
কাজী আনিসুর রহমান বলেন, বিয়ের করার জন্য নয়ন ও মিন্নিসহ ১৫ থেকে ২০ জন লোক আসে আমার অফিসে। নয়ন ও মিন্নি তাদের ১৮ বছর পুর্ণ হওয়ার প্রমান স্বরুপ এসএসসি পরীক্ষার সনদ নিয়ে আসে। বিয়ের উকিল ছিলেন ডিকেপি রোডের মো. জালাল অহমদের ছেলে শাওন। পাঁচ লক্ষ টাকা দেনমোহরে সাক্ষীদের উপস্থিতিতে আমি বিয়ে সম্পন্ন করি।
তবে হত্যার ঘটনার পর মিন্নি গণমাধমে বলেন, আমার বিয়ে হয়েছে একমাত্র রিফাত শরীফের সাথে। এছাড়া আর কখনো কারো সাথে আমার বিয়ে হয়নি। যেহেতু বিয়ে হয়নি তাই ডিভোর্সের প্রশ্নই আসেনা। রিফাতই আমার স্বামী এবং এটাই সত্য। খুনিদের তিনি এলাকার বাখাটে এবং তাকে উত্যেক্তকারী হিসেবে বর্ণনা করেন।
কিন্তু নয়নের সাথে বিয়ের বিষয়টি সামনে চলে আসায় রিফাত হত্যার সাথে মিন্নির জড়িত থাকার বিষয়ে সন্দেহ দানা বাঁধতে শুরু করেছে।
বাংলাধারা/এফএস/এমআর