বাংলাধারা ডেস্ক »
স্ত্রীর যৌন
হয়রানির প্রতিবাদ করায় রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) রাশিদুল
ইসলামকে লাঞ্ছিতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রাজশাহী মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা
শাখা সোমবার (১৯ আগস্ট) দিবাগত গভীর রাতে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের
গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানার মোল্লাপাড়া এলাকার মোস্তাক আহমেদের ছেলে
বকুল আহমেদ (১৯), রাজপাড়া থানার আলীর মোড় এলাকার দুলাল হোসেনের ছেলে শাহানুর হোসেন
খোকন (১৯) এবং বোয়ালিয়া থানার কাদিরগঞ্জ এলাকার শহিদুল ইসলামের ছেলে রিপন মন্ডল (১৮)।
নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার আবু আহাম্মদ আল মামুন জানান, ঘটনার পর থেকেই তারা
বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে তদন্ত শুরু করেছিলেন। তাই আসামিদের শনাক্ত করা
সম্ভব হয়। এরপরই তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারের পর মামলার বাদী তাদের শনাক্ত
করেছেন।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) দুপুরে নগরীর বোয়ালিয়া থানার ওসি নিবারণ চন্দ্র বর্মণ জানান, গোয়েন্দা
পুলিশ তিন আসামিকে ধরে তাদের কাছে হস্তান্তর করেছেন। আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে
পাঠানো হয়।
প্রসঙ্গত, গত ১০ আগস্ট ঈদের কেনাকাটা করে বাসায় ফিরছিলেন রুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড
ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের শিক্ষক রাশিদুল ইসলাম। নগরীর সাহেববাজার মনিচত্বর
এলাকায় একদল বখাটে তখন তার স্ত্রীকে ধাক্কা দেন। এ সময় বখাটেদের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি
হয়।
এরপর রাশিদুল ইসলাম তার স্ত্রীকে নিয়ে অটোরিকশায় চড়ে বসেন। তারপরেও বখাটেরা পাশের আরেকটি
অটোরিকশায় উঠে সমানে কটূক্তি করতে থাকে। শিক্ষক রাশিদুল ইসলাম এর প্রতিবাদ করলে বখাটেরা
অটোরিকশা থেকে নেমে এসে শিক্ষককে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। ওই শিক্ষক তখন স্ত্রীর পাশে
অটোরিকশায় বসে ছিলেন।
লাঞ্ছিতের সময় সহায়তা চাইলেও আশপাশে থাকা কেউ তাকে রক্ষায় এগিয়ে আসেননি। এ নিয়ে সামাজিক
যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন শিক্ষক। এটি ভাইরাল হয়ে যায়। আর ঘটনার ছয়
দিন পর ১৬ আগস্ট ওই শিক্ষকের স্ত্রী অজ্ঞাতনামা আট তরুণ-তরুণীকে আসামি করে বোয়ালিয়া
থানায় মামলা করেন।
বাংলাধারা/এফএস/এমআর/টিএম