বাংলাধারা প্রতিবেদন »
মিরসরাই ট্রেন দুর্ঘটনার সময় রেলক্রসিংয়ে ব্যারিকেড নামানো ছিল না বলে দাবি করেছেন আহত ইমন।
তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ওই রেলক্রসিংয়ে ব্যারিকেড নামানো ছিল না। তাই আমাদের মাইক্রোবাসের ড্রাইভার গাড়ি রেললাইনের উপর তুলে দেন।‘
আহত ইমন বর্তমানে চমক হাসপাতালের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
আহত ইমন হাটহাজারী উপজেলার আমান বাজারের খন্দকিয়া এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে। তিনি হাটহাজারীর কেসি শহীদ জিয়াউর রহমান ডিগ্রি কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্র।
ইমন বলেন, দুপুরে ঝরনা থেকে বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্যে গাড়িতে উঠি। আমি পেছনের সিটে বসেছিলাম। রেললাইনের কাছাকাছি এসে আমাদের গাড়ি কিছুটা স্লো হয়ে যায়। রেলক্রসিংয়ে কোনো ব্যারিকেড দেখতে না পেয়ে গাড়ি রেললাইনে তুলে দেন চালক।
তিনি আরও বলেন, রেললাইনে ওঠার সাথে সাথেই আমাদের গাড়িকে ট্রেন ধাক্কা দেয় এবং কিছুদূর ঠেলে নিয়ে যায়। পরে আমি গাড়ি থেকে নেমে বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করতে থাকি। এরপর স্থানীয়রা এসে সবাইকে উদ্ধার করে।
ইমনের বাবা আবুল কাশেম গণমাধ্যমকে বলেন, দুপুরে দুর্ঘটনার এলাকা থেকে কেউ একজন আমাকে ফোন করে জানায় আমার ছেলে আহত হয়েছে। আমি বাসায় কাউকে কিছু না বলেই দ্রুত বের হয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর ইমন আমাকে ফোন করে জানায়, তাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছে। তখন কিছুটা স্বস্তি পেলেও সাথে সাথেই মেডিক্যালে চলে আসি। আল্লাহর কাছে লাখো শুকরিয়া আমার ছেলে সুস্থ আছে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার (২৯ জুলাই) দুপুরে মিরসরাইয়ে রেললাইন পার হওয়ার সময় মাইক্রোবাসে ট্রেনের ধাক্কায় ১১ জন যাত্রী নিহত হন। বড়তাকিয়া রেলস্টেশনের কাছে খৈয়াছড়া ঝরনা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা সবাই মাইক্রোবাসের যাত্রী। নিহতদের বাড়ি হাটহাজারীর আমানবাজার এলাকায় বলে জানা গেছে।
সর্বশেষ পাওয়া তথ্যানুযায়ী, ওই রেলক্রসিংয়ের গেটম্যান মো. সাদ্দাম হোসেনকে ইতোমধ্যে গ্রেফতার করেছে রেলওয়ে পুলিশ।
শুক্রবার (২৯ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টার দিকে রেলক্রসিং এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজিম উদ্দিন।
তিনি বলেন, সাদ্দামকে আটক করা হয়েছে।। দুর্ঘটনার ব্যাপারে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।