ksrm-ads

১৩ জুন ২০২৫

ksrm-ads

রেলে অব্যবস্থাপনা ও হয়রানি—এবার চবি শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি

বাংলাধারা প্রতিবেদক »

বাংলাদেশ রেলওয়ের অব্যবস্থাপনা রোধসহ ছয় দফা দাবিতে ঢাকায় কর্মসূচি পালন করার পর এবার চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে অবস্থান নিয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী।

রবিবার (১৭ জুলাই) সকাল থেকে রেলস্টেশনের বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা পরিবর্তনের দাবিতে প্ল্যাকার্ড হাতে তারা শান্তিপূর্ণ অবস্থান নেন।

আন্দোলনরত ওই দুই শিক্ষার্থী হলেন— চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী মাহিন রুবেল ও কাজী আশিকুর রহমান।

সরেজমিনে দেখা যায়, ‘আমরা দিব ফুল আর ভালোবাসা, আপনারা দিন একটি দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ’ লেখা প্ল্যাকার্ড হাতে তাদের রেলস্টেশনে অবস্থান নেয় তারা। স্টেশনে আসা যাত্রীদের রেলের অব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি ও যাত্রী হয়রানির বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরি করতে এবং সোচ্চার হওয়ার আহ্বান করেন।

যাত্রীদের উদ্দেশে ওই দুই শিক্ষার্থী বলেন, ‘যেখানে অন্যায় দেখবেন সেখানেই প্রতিবাদ গড়ে তুলবেন। আপনার সামনে অন্যায় হয়েছে মানে এই না আপনি সেখান থেকে চলে গেলেন। আপনার সামনে অন্যায় হয়েছে আপনি সেটার প্রতিবাদ করেন, পরবর্তীতে সেই লোক আর অন্যায় করবে না।’

জানতে চাইলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী মাহিন রুবেল বলেন, ‘রেলের যে অব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি আর অনিয়ম। এই যে অব্যবস্থাপনাকে ঠিক করার জন্য, সাধারণ মানুষকে বোঝানোর জন্য আমাদের এ কর্মসূচি। এ কর্মসূচির আওতায় আমাদের বন্ধু রনি আছেন। উনি ঢাকা কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে আন্দোলন করছেন। আমরাও তার সাথে সংহতি প্রকাশ করেছি।’

‘যেখানে অন্যায় সেখানেই প্রতিরোধ। এই দেশে এটা হবে না সেটা হবে না এসব কথা বাদ। আমার দেশ আমাদের, এ দেশকে ঠিক করার দায়িত্বও আমাদের। এখানে যারা জনসাধারণ আছেন সবার মনের মধ্যেই যেন মনোবলটা কাজ করে এ জন্যেই আমাদের এই কর্মসূচি’— যোগ করেন তিনি।

যতদিন এই সমস্যার সমাধান হবে না, ততদিন শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি চলবে বলে জানান দুই শিক্ষার্থী।

তাদের ছয় দফা দাবিগুলো হলো— টিকিট কেনার ক্ষেত্রে সহজ ডট কম কর্তৃক যাত্রী হয়রানি বন্ধ করা ও হয়রানির ঘটনায় তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া, যথোপযুক্ত পদক্ষেপের মাধ্যমে টিকিট কালোবাজারি প্রতিরোধ, অনলাইনে কোটায় টিকিট ব্লক করা বা বুক করা বন্ধ করা ও অনলাইন-অফলাইনে টিকিট কেনার ক্ষেত্রে সর্বসাধারণের সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা, যাত্রী চাহিদার সঙ্গে সংগতি রেখে ট্রেনের সংখ্যা বৃদ্ধিসহ রেলের অবকাঠামো উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেওয়া, ট্রেনের টিকিট পরীক্ষক-তত্ত্বাবধায়কসহ অন্য দায়িত্বশীলদের কর্মকাণ্ড সার্বক্ষণিক নজরদারি ও শক্তিশালী তথ্য সরবরাহ ব্যবস্থা গড়ে তোলার মাধ্যমে রেলসেবার মান বাড়ানো এবং ট্রেনে ন্যায্য দামে খাবার বিক্রি, বিনামূল্যে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।

বাংলাধারা/আরএইচআর

আরও পড়ুন