১৪ জুলাই ২০২৫

লকডাউনেও মাদক পাচার বন্ধ নেই

বাংলাধারা প্রতিবেদক  »

লকডাউনেও মাদক পাচার বন্ধ নেই। চেকপোস্ট থাকলেও বন্ধ নেই গাড়ী চলাচল। পুলিশের শতাধিক চেকপোস্ট পেরিয়ে মাদক যাচ্ছে প্রত্যন্ত অঞ্চলে। কুমিল্লার বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা দিয়ে অর্থ লেনদেনে মাদক পাচারে কোন বাধা নেই । তেমনি দেশে প্রবেশের পরও কোনভাবে বেগ পেতে হয় না মাদক কারবারী বা পাচারকারীদের। কারণ সড়ক পথে পুলিশকে ম্যানেজ করলেও র‌্যাব সেভেনের চোখকে ফাঁকি দিতে পারেনি শুক্রবার(০২ জুলাই) গভীর রাতে। র‌্যাব সেভেনের একটি ইন্টেলিজেন্স টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সারপ্রাইজ চেকিং এর একটি অভিযান পরিচালনা করে সীতাকুণ্ডের কুমিরা এলাকায়।

র‌্যাব সেভেন সূত্রে জানা গেছে, লকডাউনেও সড়ক পথেই কতিপয় মাদক ব্যবসায়ীরা তৎপর। র‌্যাবের কাছে তথ্য ছিল একটি মিনি ট্রাক যোগে বিপুল পরিমান মাদকদ্রব্য নিয়ে কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রাম শহরের দিকে আসছে । এমন তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার গভীর রাত দুইটার দিকে সীতাকুণ্ডের ছোট কুমিরার জোড়ামতল এলাকাস্থ কুমিরা আবাসিক বালিকা স্কুল এন্ড কলেজ এর সামনে অভিযান পরিচালনা করে র‌্যাব সেভেনের একটি টিম। এসময় একটি মিনি ট্রাক থামিয়ে তল্লাশী শুরু করে টিমটি। র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে মিনি ট্রাকের চালক ও হেলপার গাড়ী থামিয়ে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু ধরা পড়তে হল র‌্যাবের অভিযানে। এরা হল খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গাস্থ কাজিরপাড়া এলাকার আতাউর রহমানের ছেলে গাড়ী চালক মোহাম্মদ ইদ্রিস ও হেলপার একই জেলার মাটিরাঙ্গা থানাধীন মুসলিম পাড়া এলাকার মৃত এমদাদুল হকের ছেলে মোহাম্মদ মোরশেদ।

র‌্যাব সেভেনের জিজ্ঞাসাবাদে তারা দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করে। আটকৃতদের নির্দেশনা অনুযায়ী ট্রাকের কেবিনে দুটি বস্তার ভেতরে ১৯ কেজি ৭০০ গ্রাম গাঁজা ও ৯৩ বোতল এস্কাফ সিরাপ জব্দ করা হয়। এসময় মাদকের কাজে ব্যবহৃত মিনি ট্রাকটি (ঢাকা মেট্টো-ড-১৪-৭৮১৯) জব্দ করা হয়। র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা বলেছে, তারা দীর্ঘ দিন যাবৎ কুমিল্লা জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে। তারা বিভিন্ন কৌশলে চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারীদের নিকট এসব মাদক বিক্রয় করে আসছে। উদ্ধারকৃত এসব মাদকদ্রব্যের আনুমানিক মূল্য ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা এবং জব্দকৃত ট্রাকের মূল্য প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা।

বাংলাধারা/এফএস/এআর

আরও পড়ুন