ksrm-ads

২০ এপ্রিল ২০২৫

ksrm-ads

লকডাউন অমান্য ও অসৌজন্যমূলক আচরণে তিন যুবককে কারাদণ্ড

জেলা প্রতিনিধি, কক্সবাজার »

লকডাউন অমান্যের পাশাপাশি অভিযান টিমের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করায় ইজিবাইক (টমটম) চালকসহ তিনজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত।

কক্সবাজারের উখিয়ায় স্টেশনে শনিবার (৩ জুলাই) বিকেলে চালানো অভিযানে টমটম চালককে ১ মাস এবং লকডাউন দেখতে আসা ২ ব্যক্তিকে ১৫ দিন করে সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। উখিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট নিজাম উদ্দিন আহমদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, উখিয়ার রাজাপালং সিকদারবিল এলাকার সোলতান আহমদের ছেলে ওসমান সরওয়ার (৩৩), হলদিয়া পালং হাতিরঘোনা এলাকার ওলা মিয়ার ছেলে বশির (৩৫) ও রত্নাপালং খোন্দকার পাড়ার ইয়াছিনের ছেলে শফিউল করিম (২১)।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতায় অযথা বের হওয়া তিনজনকে আটক করা হয়। আটক তিনজনের মধ্যে একজনকে ১মাস, দুজনকে ১৫দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। এসময় উখিয়ার লকডাউন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষনে আসেন জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ ও পুলিশ সুপার মোঃ হাসানুজ্জামান। তাদের সাথে ছিলেন স্থানীয় ইউপি সদস্য ইন্জিনিয়ার হেলাল উদ্দিনসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিগণ।

এদিকে, দ্বিতীয় ঢেউয়ে করোনার প্রাদূর্ভাব রোধে পহেলা (১) জুলাই হতে দেশজুড়ে চলছে কঠোর লকডাউন। অকারণে বাসা থেকে বের হলে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী জেল-জরিমানার ‘খড়গ’ মাথায় নিচ্ছে লোকজন। এ ধারা কক্সবাজারেও বিরাজ করছে। কঠোর লকডাউনের প্রথম দুই দিনে কক্সবাজার জেলায় ৩৯০ জনকে অভিযুক্ত করে তাদের কাছ থেকে ২ লাখ ৭৮ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

জেলা শহর ও বিভিন্ন উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ অহেতুক বাড়ি বের হওয়া লোকজনকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে এসব জরিমানা আদায় করেন।

জেলা প্রশাসনের দেয়া তথ্যমতে, শুক্রবার দ্বিতীয় দিনে জেলায় ২১৮ জনকে ১ লাখ ৮৬ হাজার ৩৫০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পৃথক ৩০টি অভিযানে মামলা হয়েছে ২১৪ টি। তবে, কাউকে কারাদন্ড দেয়া হয় নি।

লকডাউনের প্রথম দিন (১ জুলাই) অকারণে বাসা থেকে বের হওয়া জেলায় ১৭২ জনের কাছ থেকে ৯১ হাজার ৬৫০ টাকা জরিমানা আদায় করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ। পৃথক ৫০টি অভিযানে মামলা করা হয় ১৬১টি। এদিনও কাউকে কারাদণ্ড দেয়া হয়নি। লকডাউনের তৃতীয় দিনেও শনিবার সকাল থেকে মাঠে রয়েছে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ ও র্যাবসহ বিভিন্ন আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা।

শনিবার সকাল থেকে জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ ও পুলিশ সুপার মোঃ হাসানুজ্জামানের নেতৃত্বে জেলা এবং পুলিশ প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তা লকডাউন বাস্তবায়নে মাঠে রয়েছেন। ডিসি ও এসপির নেতৃত্বে শহরের বাজারঘাটা, ভোলা বাবুর পেট্রোল পাম্প এলাকাসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় অভিযান পরিচালিত হয়। এসময় মাস্ক বিহীন লোকজনের মাঝে মাস্ক বিতরণ করার পাশাপাশি তাদের সচেতন করা হয়। এছাড়াও যে সকল মানুষ লকডাউন অমান্য করে বাইরে বের হয়েছেন তাদের মামলার মাধ্যমে জরিমানার আওতায় আনা হচ্ছে।

বাংলাধারা/এফএস/এআই

আরও পড়ুন