বাংলাধারা প্রতিবেদন »
নগরীর পাথরঘাটায় গ্যাসলাইন বিস্ফোরণে সাতজনের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে জেলা প্রশাসনের গঠিত কমিটি। কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (কেজিডিসিএল) সরবরাহ লাইনে লিকেজ বা ছিদ্রের কারণে গ্যাস আবদ্ধ হয়ে পাথরঘাটায় বিস্ফোরণ হয়েছিল বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটি।
রোববার (২৪ নভেম্বর) জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেনের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন হস্তান্তরের পর সাংবাদিকদের এসব বিষয় জানান তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এজেডএম শরীফুল ইসলাম।
বিস্ফোরণের কারণ সম্পর্কে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ত্রুটিপূর্ণ গ্যাস রাইজার পরবর্তী জিআই অংশ থেকে রান্নার জন্য ব্যবহৃত প্রাকৃতিক মিথেন গ্যাস বন্ধস্থানে জমা হয়ে দুই নাম্বার কক্ষে প্রথমে প্রবেশ করে। সেখান থেকে পূজার জন্য জ্বালানো ম্যাচের কাঠি থেকে এই বিস্ফোরণ হয়। বাড়ির অভ্যন্তরীণ গ্যাসলাইনের ত্রুটি এবং বাড়ির মালিকের সৃষ্ট কৃত্রিম শূন্যস্থান জমে থাকা গ্যাস এই দুর্ঘটনার জন্য দায়ী বলে উল্লেখ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত কোতোয়ালি থানার ওসি মো. মহসিন বলেন, বিস্ফোরণের দায়ে ভবন মালিকের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার তদন্ত চলছে। জেলা প্রশাসনের এই রিপোর্ট আমাদের তদন্তে সহযোগিতা করবে। ভবন মালিককে ধরার চেষ্টা অব্যাহত আছে বলেও তিনি জানান।
জেলা প্রশাসন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, বিস্ফোরক অধিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ কর্মকর্তাদের নিয়ে এই তদন্ত কমিটি বেশ কয়েকবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন এবং ভুক্তোভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শীর মতামত নিয়ে এই রিপোর্ট জমা দেয়। এছাড়া ১৩ পৃষ্ঠার এ প্রতিবেদনে গ্যাসলাইন দুর্ঘটনা এড়াতে পাঁচটি সুপারিশ করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ১৭ নভেম্বর সকালে পাথরঘাটার বিস্ফোরণে সাত জন নিহত ও ১৫ জন আহত হন। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় কেজিডিসিএলর তদন্ত কমিটি গ্যাস লাইনে কোনো ত্রুটি পাননি বলে দাবি করেছিলেন। বরং সেফটিক ট্যাংকের গ্যাস নির্গত হয়ে দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে তারা ধারণা করেছিলেন। বিস্ফোরণ তদন্তে জেলা প্রশাসন পাঁচ সদস্যের কমিটি করেছিল। পরে বিস্ফোরক অধিদপ্তর এবং চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের দু’জন সদস্য অন্তর্ভুক্ত করে সাত সদস্যের কমিটি করা হয়।
বাংলাধারা/এফএস/টিএম/এএ