বাংলাধারা প্রতিবেদন »
চট্টগ্রাম নগরীর ট্রাফিক পশ্চিম অঞ্চলের আওতাধীন তিনটি স্থানে তিন চাকা ম্যাক্সিমা গাড়ির অবৈধ লাইন পরিচালনা করে আসছে স্থানীয় কতিপয় যুবকরা। ট্রাফিক সার্জেন্ট ও টি আইদের চোখ ফাঁকি দিয়ে চলছে এসব অবৈধ লাইন।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, চট্টগ্রাম ট্রাফিক পশ্চিম অঞ্চলের আওতাধীন অলংকার ও বড়পোল মোড়ের দুই স্থানে অবাধে চলছে বৈধ গাড়ির অবৈধ লাইন।
সরেজমিনে দেখা যায়, অলংকার মোড় ট্রাফিক পুলিশ বক্সের পাশে আলিফ গলি রোড থেকে শুরু করে বিটাক বাজার পর্যন্ত চলছে মেক্সিমা গাড়ি। আর রাস্তার দুই পাশে সারি সারি বাস ও ট্রাকের অবৈধ পার্কিং। এসব গাড়ি থেকে চাঁদা আদায় করে কিছু স্থানীয় নেতা।
একইভাবে বড়পোল মোড় থেকে আনন্দবাজার পর্যন্ত চলে অবৈধ মেক্সিমার লাইন। এই লাইনে চাঁদা উঠানোর দায়িত্বে আছে কিছু কতিপয় ড্রাইভার।
ড্রাইভারদের ভাষ্যমতে, এই লাইনে প্রতিদিন গাড়ি চলে ৪০ টি। গাড়ি প্রতি চাঁদা দিতে হয় ৩০০ টাকা। যার মাসিক চাঁদার পরিমাণ দাঁড়ায় ৩ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা। যা ভাগবাটোয়ারা হয় স্থানিয় কিছু নেতাদের মধ্যে।
অন্যদিকে বড়পোল ট্রাফিক পুলিশ বক্স থেকে লাকীপ্লাজা পর্যন্ত চলে ৩০ টি মেক্সিমা গাড়ি। গাড়ি প্রতি সকালে লাকী প্লাজা মোড়ে দিতে হয় ১০০ টাকা, বেপারীপাড়া মোড়ে ১০০ টাকা ও বড়পোল মোড়ে ১০০ টাকা। বিকেলের সময়ও একই ভাবে গাড়ি প্রতি দিতে হয় ৩০০ টাকা। তাহলে দৈনিক গাড়ি প্রতি চাঁদা দিতে হয় ৬০০ টাকা। প্রতিমাসে চাঁদার পরিমান দাঁড়ায় ৫ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা বলে জানান এই লাইনের ড্রাইভাররা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ড্রাইভার জানান, এত টাকা দেওয়া সত্বেও চোরের মত গাড়ি চালাতে হয়। ট্রাফিকের কোন উপরস্থ কর্মকর্তা আসার খবর পেলে সাথে সাথে গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যেতে হয়। মাঝে মাঝে কোন উপরস্থ কর্মকর্তার চোখে পড়লে এই গাড়িগুলো আটক হয়।
চট্টগ্রাম ট্রাফিক বিভাগের পশ্চিম অঞ্চলের ডেপুটি কমিশনার জয়নুল আবেদিনের কাছে এই অবৈধ লাইন চলার ব্যাপারে অবগত কিনা জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, এই গাড়িগুলো যদি অবৈধভাবে চলে থাকে তাহলে স্থায়ীন টিআইকে নির্দেশ দেওয়া হবে গাড়িগুলো উচ্ছেদের ব্যাপারে।
অন্যদিকে,অলংকার থেকে বিটাক পযন্ত অবৈধ লাইনে গাড়ি চলার বিষয়ে জানতে চাওয়া হয় অলংকার পুলিশ ফাড়ির টি আই জাহাঙ্গির আলমকে মুঠোফোনে তিনি জানান, অবৈধ লাইন চলার কোন সুযোগ নাই। যেসব গাড়ির রুট পারমিট নেই, সেগুলো নিয়মিত জদ্ধ করে মামলা দেওয়া হচ্ছে। তারপরেও যদি এই ধরনের কোন গাড়ি চলাচল করেও থাকে সেক্ষেত্রে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
বাংলাধারা/এফএস/এআর