লামা প্রতিনিধি »
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি বলেছেন, ‘স্কুল মিল প্রোগ্রাম’ বর্তমান সরকারের একটি যুগোপযোগী কর্মসূচী। বিশ্ব খাদ্য সংস্থার সহায়তায় পাইলট কর্মসূচী হিসেবে দেশের ৩টি উপজেলায় প্রাথমিকভাবে এই কর্মসূচীটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। লামা উপজেলা তার মধ্যে অন্যতম। স্থানীয় এনজিও এন.জেড একতা মহিলা সমিতি লামায় কর্মসূচীটি বাস্তবায়ন করছে।
তিনি বলেন, ক্ষুধার্ত শিশুদের পুষ্টি পূরণে স্কুল মিল প্রোগ্রাম চালু করা হয়েছে। সরকার তার সাধ্যমতে এই কর্মসূচীটি চালিয়ে যাবে। প্রয়োজনে স্থানীয় জনগোষ্ঠী ও স্কুল কমিটি সমন্বয়ে প্রোগ্রামটি চালু রাখতে হবে। প্রোগ্রামটি সম্প্রসারিত করতে চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। স্কুল মিল প্রোগ্রাম চালু হওয়ার পর থেকে বিদ্যালয়ে উপস্থিতির হার বেড়েছে এবং ড্রপ আউট শিশুর সংখ্যা কমে গেছে।
শনিবার (০৪ মে ২০১৯ইং) দুপুরে বান্দরবানের লামা পৌরসভার ছাগলখাইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্কুল মিল প্রোগ্রামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এইসব কথা বলেন।
তিরি আরো বলেন, সন্তান ভাল মানুষ হলে মা-বাবার সম্মান। শিক্ষিত মানুষ দেশের সম্পদ ও অশিক্ষিতরা দেশের বোঝা। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে তার সাথে মানুষও স্বনির্ভর হচ্ছে। বাহিরের সহায়তার দিকে না তাকিয়ে নিজেরা এইসব কর্মসূচী বাস্তবায়নে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমার অধিকাংশ শিক্ষার্থীর বাবা-মা অশিক্ষিত। তাই স্কুলের প্রতিদিনের পড়া স্কুলে শেষ করতে হবে। শিক্ষার পাশাপাশি ছেলে-মেয়েদের পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার দিকে খেয়াল রাখতে বলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর-এ জান্নাত রুমি। উপস্থিত ছিলেন, ডব্লিওএফপি’র বাংলাদেশ কান্ট্রি ডিরেক্টর মিঃ রিচার্ড রেগান, বিশ্ব খাদ্য সংস্থার খাদ্য ও কৃষি বিষয়ক প্রতিনিধি মিঃ রোবার্ট ডি সিম্পসন, বান্দরবানের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. আবুল কালাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মোবাশ্বের হোসেন, লামা উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল, লামা পৌরসভার মেয়র মো. জহিরুল ইসলাম, একতা মহিলা সমিতির নির্বাহী পরিচালক আনোয়ারা বেগম।
এসময় আয়োজক সংস্থার উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ, উপজেলাস্থ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, সাংবাদিক, বিদ্যালয়ে শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। শনিবার (০৪ মে) সকাল ১০ টা হতে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ছাগলখাইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
মন্ত্রী একইদিন সকাল ৯ টায় লামা-চকরিয়া সড়কে কুমারীস্থ নতুন নির্মিত ব্রিজের ভিত্তিপ্রস্তর করেন। দুপুর ১টায় লামার শিলেরতুয়া-রুপসীপাড়া সড়কে এলজিইডি কর্তৃক নতুন নির্মিত ১৮৪ মিটার গার্ডার ব্রিজের ভিত্তিপ্রস্তর করেন, বেলা ১টা ৩০ মিনিটে লামা পৌরসভার শিলেরতুয়া মার্মা পাড়ার উপাসক-উপাসিকাদের জন্য নির্মিত চেরাংঘরের শুভ উদ্বোধন করেন। বিকেলে তিনি পার্শ্ববর্তী আলীকদম উপজেলার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের অংশ নিতে লামা ছেড়ে যান।
বাংলাধারা/এফএস/এমআর